আগেই সাফাই দিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। এবার নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাস বাদ দেওয়ার বিতর্কে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ ও উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’। সাফাই দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'সিবিএসই সিলেবাস থেকে কয়েকটি বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে না জেনেই অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে। সেই মন্তব্যের সমস্যাটা হল যে একটি মিথ্যা ছবি তুলে ধরার জন্য কয়েকটি বিষয় বেছে নিয়ে রং চড়ানো হচ্ছে।'
গত মঙ্গলবার মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের উপর থেকে ভার লাঘবের জন্য নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সর্বাধিক ৩০ শতাংশ সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেইমতো কয়েকটি বিষয় বাদ দিয়ে নয়া পাঠ্যক্রমের ঘোষণা করে সিবিএসই। সংশোধিত সিলেবাসে একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদের মতো বিষয়গুলি 'পুরোপুরি' বাদ দেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে আবার ভারতে সামাজিক এবং নয়া সামাজিক আন্দোলন, পরিকল্পনা কমিশন ও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমারের মতো পড়শি দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয় পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ বা দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তা নিয়ে বোর্ডের তরফে সাফাই দেওয়া হলেও বিতর্ক থামেনি। বাধ্য হয়ে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সিবিএসই আগেই জানিয়েছে, স্কুলগুলিকে এনসিআরটির বিকল্প ক্যালেন্ডার মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং যে বিষয়গুলি বলা হয়েছে, তা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরীক্ষার জন্য একবারই করা হয়েছে। সিলেবাস ৩০ শতাংশ হ্রাস করে পড়ুয়াদের চাপ কমানোই একমাত্র লক্ষ্য।' পোখরিয়াল দাবি করেন, বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশ এবং পরামর্শ অনুযায়ী সিলেবাস সংশোধন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি জানান, 'সাজানো ব্যাখ্যা' তৈরি করা সহজ হলেও সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই সিলেবাস কমানো হয়েছে। কী কী হয়েছে, কয়েকটা উদাহরণও তুলে ধরেন পোখরিয়াল। শেষে টুইটবার্তায় বলেন, 'এটা আমাদের আন্তরিক আবেদন, শিক্ষা হল বাচ্চাদের প্রতি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। শিক্ষা থেকে রাজনীতি দূরে সরিয়ে দেওয়া হোক এবং রাজনীতিকে আরও শিক্ষিত করে তোলা হোক।'