মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আগামী ৩রা মে ২০২৪ দুপুর ২টোর সময় সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্য়মে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২৪ সালের হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অফিস( মওলানা আবুল কালাম আজাদ ভবন, সল্টলেক)-এ এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের উত্তরবঙ্গ অফিস (সংখ্যালঘু ভবন, ডিজি রোড, মালদা, বহরমপুর বিতরণ কেন্দ্র, নদিয়া ইংলিশ মিডিয়াম মডেল মাদ্রাসা, সামসিয়া হাই মাদ্রাসা( দার্জিলিং), কারিশাল এক্রামিয়া হাই মাদ্রাসা ( কোচবিহার) পরমহংসপুর বরকতিয়া হাই মাদ্রাসা( পূর্ব মেদিনীপুর) , এসএম আইআই মাদ্রাসা( পশ্চিম মেদিনীপুর) বর্ধমান হাই মাদ্রাসা, কেঁথারডাঙা হাই মাদ্রাসা( বাঁকুড়া) ও হামিদিয়া হাই মাদ্রাসা( বীরভূম) কেন্দ্র থেকে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট ০৩রা মে ২০২৪ সংগ্রহ করা যাবে। সেদিনই দুপুর ২,৩০ থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে সেটা জেনে নিন।
http://www.wbbme.org, http://wbresults.nic.in, http://www.exametc.com এই ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। সেই সঙ্গেই গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Exametc.com নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড কররা পরে সেখানে গিয়েও পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। এক্ষেত্রে কোনও টাকাপয়সা লাগবে। একেবারে বিনা পয়সায় জানা যাবে পরীক্ষার ফলাফল।
এদিকে গত বছরও( ২০২৩ সালে) মে মাসে প্রকাশিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ হাই-মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিলের ফলাফল। সেবার দেখা গিয়েছিল তিনটি বিভাগেই ছাত্রীদের টেক্কা দিয়েছিল ছাত্ররা। তিনটি ক্ষেত্রেই ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের পাশের হার বেশি ছিল। আবার মেধাতালিকার নিরিখে ভালো ফল করেছিল উত্তর ২৪ পরগনা। আলিম এবং ফাজিলের প্রথম তিনে উত্তর ২৪ পরগনার পড়ুয়ারা আছে। হাই-মাদ্রাসার প্রথম তিনে অবশ্য মুর্শিদাবাদ এবং মালদার দাপট বজায় ছিল। সার্বিকভাবে তিনটি বিভাগ মিলিয়ে মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন ৩৫ জন। ছাত্রের সংখ্যা ২৭। ছাত্রীর সংখ্যা ১০।
সেবার ( ২০২৩ সালে) যে ফলাফল দেখা গিয়েছিল সেটা একবার দেখে নিতে পারেন।
১) গতবার পাশের হার ছিল ৮৮.০৯ শতাংশ। মোট ৩৫,২০৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাশ করেছিলেন ৩১,০১৪ জন।
২)সেবার দেখা গিয়েছিল হাই-মাদ্রাসায় ছাত্রীদের টেক্কা দিয়েছিলেন ছাত্ররা। যেখানে ছাত্রদের পাশের হার ৯০.০২ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের পাশের হার ৮৭.১২ শতাংশে ঠেকেছে।
৩) হাই-মাদ্রাসায় প্রথম হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ছেলে আশিক ইকবাল। ৭৮০ নম্বর পেয়েছিলেন।
৪) হাই-মাদ্রাসায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন মুর্শিদাবাদেরই নাসিরউদ্দিন মোল্লা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫।
৫) তৃতীয় হয়েছিলেন মালদার মহম্মদ মুক্তাদুর রহমান। হাই-মাদ্রাসায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৪।