ফারিহা ইফতিকার
‘গিলি ডান্ডা’, ‘রাজা মন্ত্রী চোর সিপাহি’ - এবার স্কুলে এরকমই ‘ভারতীয় খেলা’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এমনই ঘোষণা করল কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের ‘ইন্ডিয়ান কলেজ সিস্টেমস’ কর্মসূচির আওতায় স্কুলে সেরকম ৭৫ টি ‘ভারতীয় খেলা’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতির দ্বিতীয় বার্ষিকীতে শুক্রবার ‘ইন্ডিয়ান কলেজ সিস্টেমস’ কর্মসূচি চালু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র হাতে আসা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের চিঠি অনুযায়ী, জ্যাভেলিন, ‘সীতা উদ্ধার’, ‘মরদানি খেল’ (মার্শাল আর্ট), ‘ইউবি লকপি’ (নারকেল দিয়ে মণিপুরে খেলা হয়), ‘সাঁওতাল কাট্টি’ (ওড়িশার সাঁওতালরা যে গিলি ডান্ডা খেলেন, তারই একটি রূপ হল সাঁওতাল কাট্টি, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও সেই সাঁওতালি জাতির প্রতিনিধি), ঘুড়ি ওড়ানোর মতো খেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: National Curriculum: জাতীয় পাঠক্রমের কাঠামো তৈরির পদক্ষেপ শুরু, কোন ফ্রেমওয়ার্কে এগোচ্ছে কেন্দ্র?
কেন্দ্রের দাবি, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সেই ৭৫ টি 'ভারতীয় খেলাধুলো'-র তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে ‘ইন্ডিয়ান কলেজ সিস্টেমস’ কর্মসূচির জাতীয় কো-অর্ডিনেটর গন্তি এস মূর্তি বলেন, ‘শুধুমাত্র স্কুলে ভারতীয় খেলাধুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়নি। স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলোকে আরও বেশি মাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে ব্যাডমিন্টন বা বাস্কেটবলের জনপ্রিয় খেলাধুলোর পরিকাঠামো নেই। কিন্তু সেজন্য পড়ুয়াদের (কেন খেলাধুলোয়) অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে?’
আরও পড়ুন: National Education Policy এবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে হবে, থাকবে বেদ, পুরাণের প্রাচীন বিজ্ঞানও
সেইসঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান কলেজ সিস্টেমস’ কর্মসূচির জাতীয় কো-অর্ডিনেটর বলেন, ‘তাই ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে স্কুলে স্থানীয় খেলা চালু করার জন্য সেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অধিকাংশ খেলায় বেশি লোকজন লাগবে না এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা ও (স্থানীয়) সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ওঠার ক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাবে।’