গোটা দেশ জুড়েই আধ্য়াত্মিক বিষয় নিয়ে নানা চর্চা। আচমকাই এই চর্চা যেন বেড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। আর সেই ঢেউ কি এবার আছড়ে পড়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও? সূত্রের খবর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পিরিচুয়াল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পিএইচডি চালুর ব্যাপারে মউ স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আপাতত বাতিল করা হয়েছে বলে খবর।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সোশ্য়াল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (IISWBM) এই স্পিরিচুয়াল ম্যানেজমেন্টের উপর পিএইচডি পাঠক্রম চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মউ স্বাক্ষর হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনিয়ে আপত্তি তোলে। তারপরই এই উদ্যোগ বাতিল করে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে এই আধ্য়াত্মিক বিষয়ের উপর পাঠক্রমটি চালু করার কথা ছিল। আধ্য়াত্মবাদ নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই চর্চা। আর সেই চর্চার সঙ্গে আর একটু হলেই যুক্ত হয়ে যেত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এই ধরনের কোর্স করানো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের সঙ্গে কতটা মানানসই তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ডিএসও ও ব্রেক থ্রু সায়েন্স সোসাইটির মতো একাধিক সংগঠন এনিয়ে আপত্তি তোলে। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে তাঁরা স্মারকলিপিও দেন। তাদের দাবি, এই ধরনের কোর্স চালু করা কখনওই উচিত নয়। এই ধরনের কোর্স কতটা বিজ্ঞানসম্মত সেটা দেখা দরকার। তবে শেষ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল এই উদ্যোগ। তারপরেই মউ স্বাক্ষরের উদ্যোগ জল পড়ে গেল।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানিয়েছেন, এবিষয়ে তিনি বিন্দুবিসর্গও জানেন না। সেই সঙ্গেই পরে তিনি জানিয়েছেন, আমরা আইনি পরামর্শ নিয়েছি। আমাদের না জানিয়ে IISWBM এই সিদ্ধান্ত কী করে নিল, তার ব্যাখা চাওয়া হবে। জবাব পেলে সেই মতো বিষয়টি নিয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
আসলে এই ধরনের কোর্স কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। ছাত্রছাত্রী মহলেও এনিয়ে নানা আপত্তি উঠতে থাকে। এমনকী ডিএসও এনিয়ে বিক্ষোভও দেখায়। তারপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এনিয়ে আর বিতর্ক বাড়াতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই বাতিল করে দেওয়া হয় মউ স্বাক্ষর করার উদ্যোগ।