ইউপিএসসিসে বিরাট সাফল্য দার্জিলিং জেলার। দার্জিলিং জেলার অন্তত তিনজন সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় বিরাট সাফল্য পেয়েছেন। এই প্রথম অন্তত তিনজন দার্জিলিং জেলা থেকে ইউপিএসসিতে সফল হয়েছেন।
২৫ বছর বয়সী জয়শ্রী প্রধান। তিনি দার্জিলিং শহরের রবার্টসন রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ৫২তম Rank করেছেন। অপরজন হলেন ২৩ বছর বয়সি গৌতম ঠাকুরী। তিনি বাগডোগরার বাসিন্দা। তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ৩৯১ তম স্থানে রয়েছেন। অপরজন হলেন অজয় মোক্তান। তিনি ২৬ বছর বয়সি। তিনি এমএন তরাই চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্থান ৪৬৪ তম জায়গায়।
দার্জিলিং জেলার এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি জেলাবাসী। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জয়শ্রী কোনও কোচিং সেন্টারে পড়েননি। দিনে ৮-১০ ঘণ্টা পড়তেন তিনি। আর মেইন পরীক্ষার সময় এই পড়ার সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর তার ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। তিনি দার্জিলিংয়ের লরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেছেন। আইসিএসইতে তিনি ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। এরপর তিনি আইন নিয়ে পডা়শোনার জন্য বেঙ্গালুরুতে যান। আর সেখানেই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। সেখানেই তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ইউপিএসসিতে বসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।
বাগডোগরার বাসিন্দা গৌতম ঠাকুরী বেঙ্গালুরুর রাষ্ট্রীয় মিলিটারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। দিল্লি মোতিলাল নেহেরু কলেজ থেকে তিনি ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর পিএইচডি করছিলেন। গৌতম অবশ্য অনলাইন কোচিংয়ের সহায়তা নিয়েছিলেন। তবে তিনি ফের আরও একবার ইউপিএসসি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ তিনি Rank টা আরও ভালো করার চেষ্টা করবেন।
অজয় মোক্তান। পানিঘাটার রেনবো আকাদেমির ছাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কৃষক পরিবারের সন্তান। বেশ লড়াই করেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে তাঁরা দাদারা পুলিশে ও মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আছেন। তাঁরাও সবসময় সহায়তা করেছেন। সব মিলিয়ে সাফল্য আজ হাতের মুঠোয়।
তাঁদের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা জেলা। দার্জিলিংয় পুলিশের তরফেও এনিয়ে টুইট করে তাঁদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। যাঁরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য়ে ইউপিএসসির জন্য় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের কাছেও অনুপ্রেরণা এই তিনজনের সাফল্যের কাহিনি।
দার্জিলিং পুলিশ জানিয়েছে, জয়শ্রী প্রধানকে আমাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছা। তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ৫২ তম স্থানে রয়েছেন। দার্জিলিং তাঁর জন্য় গর্বিত। তাঁর বাবা মাকেও আমাদের অভিনন্দন রইল।