বাংলা নিউজ > কর্মখালি > Kolkata girl suffering for 'ChatGPT': আয় কমেছে ৯০%, অর্থসংকটে পরিবার, ChatGPT-র ধাক্কায় অথৈ জলে কলকাতার ২২ বছরের মেয়ে

Kolkata girl suffering for 'ChatGPT': আয় কমেছে ৯০%, অর্থসংকটে পরিবার, ChatGPT-র ধাক্কায় অথৈ জলে কলকাতার ২২ বছরের মেয়ে

শরণ্য ভট্টাচার্য। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক Sharanya Bhattacharya)

Kolkata girl suffering for 'ChatGPT': কলকাতার মেয়ে শরণ্যা ভট্টাচার্যের দাবি, চ্যাটজিপিটির কারণে কাজ কমে গিয়েছে। আগে যেখানে মাসে ২০,০০০ টাকা উপার্জন করতেন ২২ বছরের মেয়ে, এখন তাঁর মেরেকেটে ২,০০০ টাকা আয় হয়।

যন্ত্রের 'বুদ্ধির' কাছে যেন দাম পাচ্ছে না মানুষের মাথা। আর সেটার পরিণতি যে কী হতে পারে, সেটা প্রতিটি মুহূর্তে অনুভব করতে পারছেন কলকাতার মেয়ে শরণ্যা ভট্টাচার্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি এজেন্সিতে কপিরাইটার হিসেবে কাজ করে একটা সময় যেখানে মাসের শেষে ২০,০০০ টাকার মতো উপার্জন করতেন ২২ বছরের মেয়ে, সেটাই এখন কমে ২,০০০ টাকার কাছে ঠেকেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সঙ্গে অসম যুদ্ধের মুখে পড়ে জীবনের প্রতিটি সেকেন্ডে লড়াই করতে হচ্ছে শরণ্যাকে। যিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউ অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের (আইসার) স্নাতকোত্তর পড়ুয়া।

আরও পড়ুন: AI vs Future Jobs: চ্যাটজিপিটি-র কারণে কি অনেকে চাকরি হারাতে পারেন? বলে দিলেন এর স্রষ্টাই

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি এজেন্সির হয়ে কপিরাইটারের কাজ করতেন শরণ্যা। নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই সেই কাজ করে সংসার টানছিলেন। কিন্তু চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এসে তাঁর ছোট্ট দুনিয়া তছনছ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন শরণ্যা। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের শেষের দিক থেকে তাঁর কাজ ক্রমশ কমতে থাকে। এখন মাসে মেরেকেটে মাত্র একটি বা দুটি লেখা আসে। যে এজেন্সিতে কাজ করতেন, সেই সংস্থা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে শুরু করে। 

আরও পড়ুন: 'ভারতের AI তৈরির চেষ্টা আশাহীন,' বললেন ChatGPT-র কর্তা, ‘চ্যালেঞ্জ গ্রহণ’ করলেন Tech Mahindra CEO

তবে কী কারণে শরণ্যাকে এত কম কাজ দেওয়া হচ্ছে, এজেন্সির তরফে সেটার কোনও ব্যাখ্যা করা হয়নি বলে দাবি করেছেন তরুণী। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরণ্যা দাবি করেছেন যে চ্যাটজিপিটি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণেই তাঁর কাজ কমে গিয়েছে। তারপর থেকে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। শুধু তাঁর সংকটের মধ্যে পড়তে হয়নি, পরিবারের আর্থিক অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। প্রতি মাসে যে টাকা উপার্জন করতেন শরণ্যা, তা তাঁর পরিবারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শাড়ি বিক্রি করে মা যে টাকা উপার্জন করতেন, সেটার সঙ্গে শরণ্যা যে টাকা আয় করতেন, সেটা দিয়ে মোটামুটি সংসার চলে যেত।

শরণ্যা জানান, এখন পরিবারকে অনেক সংযমী হয়ে চলতে হচ্ছে। দরকারের বাইরে কোনও টাকা খরচ করা হচ্ছে না, যাতে নিদেনপক্ষে ঠিকভাবে বাঁচতে পারেন। তাঁর জীবন অনিশ্চয়তায় ভরে গিয়েছে। কাজ হারানোর পর ভয়ও ঘিরে ধরেছে। মাঝেমধ্যেই 'প্যানিক অ্যাটাক' হচ্ছে। সেইসঙ্গে শরণ্যা জানিয়েছেন, শুধু তিনি নন, বিশ্বের অনেকেরই সেই পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। বিশ্বে প্রচুর ভালো কপিরাইটার আছেন। তাঁরাও আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন কিছু করা হয়, যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মানুষ এগিয়ে যেতে পারেন, সেই আশাপ্রকাশ করেছে শরণ্যা। 

বন্ধ করুন