মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় স্থান পেল আরও সাত জন । ফলে প্রথম দশের মেধাতালিকায় মোট ৯১ জন ছাত্র-ছাত্রীর নাম যোগ হল। গত জুলাই মাসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। তখন প্রথম দশে মোট ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রী স্থান পেয়েছিল। তার পরেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জন্য আবেদনপত্র জমা নিতে শুরু করে।
ফল প্রকাশের প্রায় তিন মাস বাদে মঙ্গলবার পঞ্চমীর দিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিকের রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফল প্রকাশ করে। মেধাতালিকায় থাকা এক ছাত্রের স্থান বদলও হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩ নভেম্বরের পর থেকে পর্ষদের রিজিওনাল অফিস থেকে স্কুলগুলি সংশোধিত মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে।
পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় ২০২০ অর্থাৎ চলতি বছরের মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির আবেদনপত্রের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল ২৬৯৪ জন পড়ুয়া। যার মধ্যে ৬১৫ জন ছাত্রছাত্রীর নম্বরের বদল হয়েছে। স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ২৬২১৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর। স্ক্রুটিনির মাধ্যমে নম্বরের পরিবর্তন হয়েছে ৬২২৫ জনের। সাধারণত রিভিউতে উত্তরপত্র মূল্যায়নে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ভুল করলে আবার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য রিভিউয়ের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু স্ক্রুটিনিতে সাধারণত যোগের ক্ষেত্রে ভুল হলে নম্বর বাড়ার সুযোগ থাকে। এবার এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর নম্বর যোগের ক্ষেত্রে কি করে ভুল করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে পর্ষদ সূত্রের খবর, গতবারের তুলনায় রিভিউ এবং স্ক্রুটিনি তে নম্বর পরিবর্তনের হার অনেকটাই কমে গেছে ।
রিভিউ ও স্কুটিনির জেরে যে ৭ জন ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ঢুকে গেলেন তারা হল মালদার বাড়ল গার্লস হাইস্কুলের অঙ্কিতা মন্ডল। অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। নবম স্থান দখল করে মেধাতালিকায় যে ছাত্রছাত্রীরা স্থান পেয়েছে তারা হল বহরমপুর জগন্নাথ একাডেমীর দ্বিজেন্দ্র মোহন ত্রিবেদী এবং মালদার বার্লো গার্লস হাইস্কুলের রিতায়নী সাহা। দশম স্থান নতুনভাবে যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা দখল করেছে তারা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর বিদ্যাপীঠ রনিতা বিশ্বাস, জলপাইগুড়ির জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্র দেব ইনস্টিটিউশনের দেবর্ষি পাল, বীরভূমের রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনের সায়ন চক্রবর্তী ও বাঁকুড়ার কেন্দুয়াদহি হাইস্কুলের কৌস্তভ ঘোষ।