পরীক্ষায় মোবাইল ফোন নিয়ে গণটোকাটুকির জন্য ২৮ টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হল। ২৩ অক্টোবর কেরালার ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার সময় এই ঘটনা ঘটে।
চারটি কলেজের মধ্যে শুধুমাত্র একটি কলেজ থেকেই ১৬ টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। আরেকটি কলেজ থেকে ১০টি ফোন এবং বাকি দুটো কলেজ থেকে একটি করে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই কলেজগুলির অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষা বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে কেরালা টেকনোলজিকাল বিশ্ববিদ্যালয় (KTU) সিন্ডিকেট পরীক্ষা উপ-কমিটি পরিচালিত একটি অনলাইন শুনানির সময় এই তথ্য উঠে এসেছে।
KTU-এর উপাচার্য ডক্টর এম এস রাজশ্রীর নির্দেশ অনুসারে এই শুনানি হয়। যে কোনও পরীক্ষার ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকা নিষেধ থাকে। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সেই নির্দেশ ছিল। জানা যায়, কিছু পড়ুয়া একটা মোবাইল ফোন পরীক্ষার হলের বাইরে রেখে এবং পরীক্ষকের চোখে ধুলো দিয়ে অন্য একটি ফোন নিয়ে ভেতরে ঢোকে।
বিশ্ব বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে, যারা মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকবে তাদের সেই পরীক্ষা এবং পরবর্তী ৩টি পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
একই বিষয়ের একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে পড়ুয়ারা। কিছু গ্রুপ ৭৫ নম্বরের উত্তর শেয়ার করে। বাজেয়াপ্ত বেশিরভাগ মোবাইল এখন লক করা। এবং খুব সহজেই ডুপ্লিকেট সিম ব্যবহার করে ফোনগুলো ব্লক করা যায় এবং হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা মুছে ফেলা যায়।
এই চারটি কলেজের অধ্যক্ষরা পরামর্শ দিয়েছিলেন যে মোবাইল ফোনগুলি পুনরায় পরীক্ষা করতে এবং আরও তথ্য সন্ধানের জন্য প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়াও, অন্যান্য কলেজগুলিতে এবং অন্যান্য পরীক্ষার সময়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এই চার কলেজের অধ্যক্ষদের ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠক ডেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।