দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং শেষেও ফাঁকা ৪০০ আসন। ডিএম-এমসিএইচের মতো সুপার-স্পেশ্যালিটিতে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং ইতিমধ্যে শেষ। তবুও দেশ জুড়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এখন পর্যন্ত ডাক্তারির প্রায় ৪০০ আসন ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। ডাক্তারির সর্বোচ্চ ডিগ্রি হল ডিএম-এমসিইচ। এই জন্য নির্ধারত প্রবেশিকা পরীক্ষা হল নিট পিজি। খালি আসন ভরাতে কাট-অফ মার্কস কমানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছিল চিকিৎসক সংগঠন ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইউডিএফএ)।
গত সোমবার ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশনের তরফে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার থেকে নিট-পিজি প্রবেশিকার মতো এবার নিট-এসএস প্রবেশিকাতেও কাট-অফ মার্কস করা হল শূন্য পার্সেন্টাইল। তবে ডাক্তারির মত উচ্চশিক্ষায় কেন এই শিথিলতা এই নিয়েই বিতর্কের দানা বেঁধেছে চিকিৎসক মহলে। চিকিৎসকদের এক অংশের মতে, শূন্য পার্সেন্টাইলের অর্থ শুধুমাত্র শূন্যই পরীক্ষার্থীদের পাওয়া সবচেয়ে কম নম্বর নয়। সেই নম্বর নেগেটিভ হলেও তা গ্রাহ্য হবে। অর্থাৎ, ডিএম-এমসিএইচের মতো সুপার-স্পেশ্যালিটি পড়ার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থী, যিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় শূন্যের চেয়েও কম নম্বর পেয়েছেন।
শুধু তাই নয় যেহেতু এত নীচের র্যাঙ্কিং মেলা প্রার্থী একমাত্র টাকার বিনিময়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেই পড়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন, তাই কেন্দ্রীয় সরকারি এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে বাণিজ্যিক যোগ দেখছেন অনেকে। এ বিষয়ে সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা জানিয়েছে,'এই সিদ্ধান্তে মেধার সঙ্গে ভয়াবহ আপোষ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবসায়ীদের মুনাফার পাহাড়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।'
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপকদের এক অংশের মতে, চিকিৎসা-শিক্ষার পরিকাঠামো কমিয়ে সরকার যেভাবে ইচ্ছেমত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খোলার অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি), শূন্য পার্সেন্টাইলের সিদ্ধান্ত তার একটি অংশ বিশেষ। তবে নিট-এসএস মত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় শূন্য পার্সেন্টাইলের এই বিষয়টিকে ভালো ভাবে দেখছেন না দেশের শিক্ষিত মহলের বড় অংশ।