নবম ও দশমের পড়ুয়ারা এবার পাঁচটি পাঠ্যবইয়ের নতুন সংস্করণ কিনতে হবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এই বইগুলির নয়া সংস্করণের অনুমোদন দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, বইয়ের নবতম সংস্করণ পড়ুয়াদের দেওয়া হলেও পাঠ্যক্রমে কোনও বদল আসছে না। আগের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়াশোনা চলবে। আজ ,মঙ্গলবার রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রাকপ্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। এই আবহে নতুন সংস্করণের পাঁচটি বইও পড়ুয়াদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আগেই স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল পর্ষদ। (আরও পড়ুন: আবারও দুর্নীতির অভিযোগ বঙ্গে, এবার প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ)
আরও পড়ুন: 'প্রস্তাব দিয়েছিলাম ২০০৬-এ…', ইসরোর ব্ল্যাকহোল অভিযানের অন্যতম 'মাথা' এই বাঙালি
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছরই ২ জানুয়ারি পালন করা হয় 'বুক ডে'। আজ থেকে আগামী ৭ দিন পর্যন্ত চলবে 'স্টুডেন্টস উইক'। এই আবহে প্রাকপ্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের সব বই বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এবং নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের বাংলা, ইংরেজি এবং অঙ্কের বই বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বাকি বই বাজার থেকে কিনে নিতে হয় পড়ুয়াদের। তবে কোন বই কিনতে হবে, তার তালিকা পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই আবহে এবার নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাতে যে বইয়ের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি বই নতুন সংস্করণের।
এই বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে পাঁচটি বইয়ের নতুন সংস্করণ পড়ুয়াদের তালিকায় উল্লেখিত আছে, সেগুলি ২০১৭ সাল থেকে রিভিউ করা হয়নি। এই সময়কালে অন্তত ১০০টি প্রকাশক নাকি ওই পাঁচটি বিষয়ের বই রিভিউ করে নতুন বই প্রকাশের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই মতো রিভিউয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপরই টেক্সট বুক নম্বর বা টিবি নম্বর দিয়ে সেই পাঁচটি বইয়ের নতুন সংস্করণকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আবহে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পড়ুয়ারা যখন বাজার থেকে ওই বিষয়ের বইগুলি কিনবেন, তখন যেন তাঁরা নতুন টিবি নম্বর দেখে তা কেনেন।
এদিকে আজকে 'বুর ডে' উপলক্ষে বই বিতরণের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের হাতে। এরপর আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক ও অভিভাবকদের বৈঠক, পড়ুয়াদের মধ্যে কুইজ, বিতর্ক সভা, গল্প বলা প্রতিযোগিতা, স্কুল পরিষ্কার রাখা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিস পোস্টার তৈরির মতো কর্মসূচি পালিত হবে স্কুলগুলিতে। আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিগুলি পালিত হবে রোজ।