নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে ইতিমধ্যে ভারতীয় রেলে ৩.৫ লাখ শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছে। শীঘ্রই আরও ১.৫ লাখ প্রার্থীকে নিয়োগ করা হবে। এমনটাই দাবি করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
মঙ্গলবার রাতে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে (এখনও পর্যন্ত) ভারতীয় রেলে মোট ৩.৫ লাখ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ বছরে ৪৩,০০০-র বেশি নিয়োগ করেছে রেল। দ্রুতগতিতে প্রায় ১.৫ লাখ অতিরিক্ত পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।’
এমনিতে সম্প্রতি নিয়োগ নিয়ে তুমুল চাপের মধ্যে পড়েছিল রেল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দু'বছর কেটে গেলেও পরীক্ষা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন প্রার্থীরা। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়েছিল রেল। যে পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। আপাতত রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের (আরআরবি) নন-টেকনিকাল পপুলার ক্যাটেগরির (এনটিপিসি) দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। যা গত রবিবার (১২ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। চলবে শুক্রবার (১৭ জুন) পর্যন্ত। যে পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। আগুন জ্বলেছিল দেশের একাধিক প্রান্তে। অন্যদিকে, শীঘ্রই আরআরবি গ্রুপ ‘ডি’ পরীক্ষার জন্য অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশিত হতে পারে।
আগামী ১৮ মাসে ১০ লাখ নিয়োগের নির্দেশ
আগামী ১৮ মাসে ১০ লাখ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বলা হয়, 'সব দফতর এবং মন্ত্রকের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী দেড় বছরে তৎপরতার সঙ্গে ১০ লাখ কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।'
তা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এর আগে বছরে ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই মতো চাকরি হয়নি। তাই এই ঘোষণার কোনও নিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছি না আমি।’