বাংলা নিউজ > কর্মখালি > TET Recruitment: সরকার দিতে চাইছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের…প্রাথমিকে চাকরি কবে? বোমা ফাটাল পর্ষদ

TET Recruitment: সরকার দিতে চাইছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের…প্রাথমিকে চাকরি কবে? বোমা ফাটাল পর্ষদ

গৌতম পাল, সভাপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফাইল ছবি

জট কবে কাটবে, কবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটবে তা নিয়ে এখনও কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি পর্ষদ। সেক্ষেত্রে কবে আদালত থেকে ছাড়পত্র আসবে, তার মাঝে আবার জটিলতা তৈরি হবে কি না, নতুন করে দুর্নীতির সন্ধান মিলবে কি না তা নিয়েও নানান প্রশ্ন।

প্রাথমিকে চাকরি কবে মিলবে এনিয়ে কার্যত হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে তার মধ্য়েই কার্যত বোমা ফাটাল প্রার্থমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্যদ সভাপতি গৌতম পাল কার্যত আদালতের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের থেকে ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকে চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিলেন, ২০১৪ সালের ব্যাচ ও ২০১৭ সালের ব্যাচের মধ্য়ে রীতিমতো আইনি লড়াই চলছে।

এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও পর্ষদ সভাপতির পাশে ছিলেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য এখনও আমরা আটকে রয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেব।

এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ কার্যত বিশ বাঁও জলে চলে গেল? তবে পর্ষদ কার্যত জানিয়ে দিয়েছে গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রের উপর। সেই সঙ্গে ২০১৪ সালের সঙ্গে ২০১৭ সালের আইনি লড়াইয়ের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

গৌতম পাল জানিয়েছেন, সরকার চাকরি দিতে চাইছে। আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৪ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছে আমাদের দিন, ২০১৭ সালের ব্যাচকে দেবেন না। আবার ২০১৭ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছেন, স্যার আমাদের দিন, ২০১৪ সালের ব্যাচকে দেবেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে চলে যাচ্ছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, বোর্ডকে পার্টি করা হচ্ছে।

তবে গৌতম পাল জানিয়েছেন, সরকার চাকরি দিতে চাইছে, আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি…

তিনি জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে আমরা প্যানেল প্রকাশ করতে পারছি না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাব।

তবে এদিন দুজনেই কার্যত ইঙ্গিত দেন এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া পথ নেই। সেক্ষেত্রে জট কবে কাটবে, কবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটবে তা নিয়ে এখনও কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি পর্ষদ। সেক্ষেত্রে কবে আদালত থেকে ছাড়পত্র আসবে, তার মাঝে আবার জটিলতা তৈরি হবে কি না, নতুন করে দুর্নীতির সন্ধান মিলবে কি না তা নিয়েও নানান প্রশ্ন।

 

বন্ধ করুন