সিঙ্গাপুর হোটেল শিল্পে কর্মসংস্থানের ঘাটতি মেটাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল। এদেশের রাঁধুনিদের জন্য এই পদক্ষেপটি সুখবর আনতে চলেছে। ঐতিহাসিক ভাবেই সিঙ্গাপুরের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে নিয়োগকর্তারা চিন, মালয়েশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে ওয়ার্ক পারমিট থাকা ব্যক্তিদের কাজে নিযুক্ত করে। জনশক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি দেশটির ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলিতে রান্নার জন্য আবেদন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনে। এনটিএস ওয়ার্ক পারমিটধারী কর্মীদের নিয়োগ করতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানগুলি ১ সেপ্টেম্বর থেকে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন জমা দিতে পারবে।
(আরও পড়ুন: Jadavpur Student Death: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত ৬ জনের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজত)
বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, ফিলিপাইনস, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশগুলি মিলিয়ে এনটিএস দেশ গঠন করে। এই নির্দেশিকার পর ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক ওয়ার্ক পারমিট থাকা ব্যক্তিরা রান্নার কাজে সেদেশে যেতে পারবেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল সংক্রান্ত অন্যান্য কাজেও নিয়োগের সুযোগ থাকছে। সিঙ্গাপুরের মন্ত্রক গাইডলাইন প্রকাশ করে যে, ভারতীয় খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে বানিজ্য এবং সরকারি স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল দ্বারা আবেদনগুলি মূল্যায়ন করা হবে।
(আরও পড়ুন: Jadavpur student death: ‘শাস্তি চাই’, ‘র্যাগিংয়ে’ ঘরের ছেলের মৃত্যুর পর যাদবপুর অভিযান বগুলাবাসীর)
বিশেষ সূত্রে খবর, ভালো মানের রাঁধুনি পেতে কেবল ভারত থেকে নয়, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থেকেও রাঁধুনিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আগ্রহী সিঙ্গাপুর প্রশাসন ও বাণিজ্য মহল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যায় রাঁধুনিরা গেলে আরও বিচিত্রমূলক রন্ধন সংস্কৃতির জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা। সিঙ্গাপুরের সম্মানীয় সেক্রেটারি এস মহেনথিরান এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন যে, এটি ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলিকে দেশের সমৃদ্ধ ভারতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের সাথে খাঁটি ভারতীয় খাবার সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের ধনী সম্পত্তিশালী ব্যাক্তিবর্গের একাংশ চিকিৎসা, হাওয়া বদল, কিংবা বাণিজ্যিক কাজে প্রায়শই সিঙ্গাপুরে গিয়ে থাকেন। বহু বাঙালি রেস্তোরাঁও চলছে রমরমিয়ে। এরই মাঝে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আরও রাঁধুনি, হোটেল পরিষেবা কর্মী নিয়োগের নির্দেশিকায় অনেকের মুখেই হাসি ফুটেছে। কর্মসংস্থানের আকালে বিদেশ বিভূঁইতে কাজের সুযোগ তো আর মুখের কথা নয়।