নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস দিলেও কথা রাখল না রাজ্যের বিজেপি সরকার। অনিয়মের অভিযোগে বাতিল হল বাম জমানায় নিয়োগ হওয়া ১০,৩২৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল। ফলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ১০ হাজার শিক্ষক পরিবারে।
পুরনো কাজের জায়গায় শিক্ষকদের ফেরানোর আর্জি সুপ্রিম কোর্ট নামঞ্জুর করেছে৷ গত ৫ আগস্টের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কাজ হারানো শিক্ষকদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেয়৷ আগামী ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সময়সীমা বাড়ায় সর্বোচ্চ আদালত৷ এই সময়ের মধ্যে তাঁরা নতুন করে শিক্ষক পদের পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে বসার জন্য বিশেষ সুযোগ পাবেন৷ যাঁরা যোগ্য নির্বাচিত হবেন না প্রয়োজনে অশিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ দিতে পারবে ত্রিপুরা সরকার৷
আদালত সুযোগ দিলেও নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি উড়িয়ে ত্রিপুরা সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাজ হারানো শিক্ষকদের ১০০ শতাংশের কাজ দেওয়ার বিষয়ে কোনও গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না৷ ফলে নতুন করে ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে ১০ হাজার ৩২৩ কাজ হারানো শিক্ষক পরিবার৷
অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না ত্রিপুরার বিজেপি সরকার৷ অথচ বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল, কাজ হারানো শিক্ষকদের নতুন করে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ক্ষমতায় আসার পর শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না৷
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ অবশ্য জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপদেষ্টা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে৷ তবে রায়ের সব কিছু স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না৷ মানিক সরকারের আমলে শিক্ষকের নিয়োগে গরমিলের অভিযোগে প্যানেল বাতিল হয়৷ এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছে ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল সিপিএম৷