নিয়মে আনা হচ্ছে বড় রদবদল। এবার নতুন টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) সোসাইটির সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। সঙ্গে থাকবে একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ; যা অন্তর্বর্তী গভর্নিং বোর্ডকে প্রতিস্থাপন করবে। টিআইএসএস, অর্থায়নের কারণে এখন সরকারি এক্তিয়ারের অধীনে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসরণ করবে। এছাড়াও নিয়মের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে বিপুল পরিবর্তন। যেমন, মেধা পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে হবে ভর্তি। এছাড়াও টাটা ট্রাস্টের তরফে আগে ২ জন সদস্য থাকতেন গভর্নিং বোর্ডে, এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী সেই বোর্ডে ট্রাস্টের তরফে একজন থাকবেন।
টিআইএসএস সোসাইটি যেখানে টিআইএসএস-এর কার্যকর্মকে সহজতর করবে; পাশাপাশি তখন নির্বাহী পরিষদের পরিচালনার ও প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে। আর এই নিয়মগুলি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে টিআইএসএসকে সাহায্য করবে৷
কেন্দ্রের ৫০ শতাংশ সরকারি আর্থিক অনুদান যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান পেয়ে থাকে, তাদের গত বছরই নিজের ছত্রে আনতে চেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। টিআইএসএস একটি কেন্দ্রের অর্থপুষ্ট ও ডিমড্-টু-বি ইউনিভার্সিটির তকমা অনেক আগেই পেয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছে ছিল এই প্রতিষ্ঠানকে তাদের অন্তর্গত করা। তবে আনুষাঙ্গিক ও অন্তর্বর্তী কিছু কারণের জন্য চুক্তির স্মারকপত্র (MoA) এখনও পর্যন্ত খসড়া রূপেই পড়ে আছে। এই চুক্তি কার্যকর হলে বর্তমানে যে গভর্নিং বডি রয়েছে, তা পরিবর্তিত হয়ে পড়বে, কার্যনির্বাহী কাউন্সিলে। তৎসহ প্রতিষ্ঠানটি তখন কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে আর্থিক পুষ্ট হয়ে দাঁড়াবে।
এর আগে, ইনস্টিটিউটটি টাটা ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হত এবং গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারপারসন হিসাবে ট্রাস্টেরই একজনকে মনোনীত করা হত। কিন্তু, কিছু সময়ের জন্য, টাটা ট্রাস্ট শুধুমাত্র কয়েকটি প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। যার অধীনে ইনস্টিটিউটে অ্যাডহক টিচিং এবং নন-টিচিং পদ রয়েছে। TISS-এর ২০২২-২৩ বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ১৮১টি শিক্ষাদানের পদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং ৫১টি টাটা ট্রাস্ট দ্বারা অনুমোদিত এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷
চুক্তি অনুসারে, জাতীয় পরীক্ষা সংস্থা বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অন্য কোনো সংস্থা দ্বারা পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। টিআইএসএস সম্প্রতি ভর্তির জন্য কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে, যা কিছু শিক্ষার্থী বিরোধিতা করেছিল। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অফ-ক্যাম্পাস এবং অফ-শোর ক্যাম্পাসগুলি শুরু করতে পারে। বর্তমানে, এটির তুলজাপুর, গুয়াহাটি এবং হায়দ্রাবাদে অফ-ক্যাম্পাস রয়েছে।