বিতর্কে বিতর্কে জেরবার দিল্লি ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা কতটা করুণ, সেটা বোঝা যাচ্ছে চলতি রঞ্জি ট্রফিতেই। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দিল্লির ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স চূড়ান্ত খারাপ। যশ ধুলকে নেতৃত্ব থেকে সরানো, আয়ুষ বাদোনিকে স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলার মতো বিতর্কের প্রভাব দিল্লির মাঠের লড়াইয়েও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মোহালিতে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে এলিট-ডি গ্রুপের ম্যাচে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা দিল্লির। তারা টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৭ রানে। যশ ধুলের ৪৭ ছাড়া প্রথম ইনিংসে বলার মতো রান করতে পারেননি দিল্লির আর কোনও ব্যাটসম্যান। শূন্য রানে আউট হন প্রিন্স যাদব ও ক্যাপ্টেন হিম্মত সিং।
বোলারদের সৌজন্যে দিল্লি তবু ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি। কেননা উত্তরাখণ্ডকে প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রানে বেঁধে রাখেন নভদীপ সাইনি, হৃত্বিক শোকিনরা। প্রথম ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের আদিত্য তারে ৮৩, অবনীশ সুধা ৬৪ ও স্বপ্নিল সিং ৪৭ রান করেন। দিল্লির সাইনি ৪টি ও হৃত্বিক ৩টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে দিল্লি। এবার তারা দ্বিতীয় ইনিংসে নজিরবিহীন ভরাডুবির মুখে পড়ে। দিল্লি দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা দলগত ১০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট খোয়ায়। মাত্র ১১ রানে দিল্লির অর্ধেক ব্যাটিং লাইনআপ সাজঘরে ফেরে। অর্থাৎ, ১১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ইনিংস হারের আতঙ্কে কাঁপতে থাকে দিল্লি।
প্রথম ৬ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে দিল্লির ৫ জন শূন্য রানে আউট হন। দুই ওপেনার অর্পিত রানা ও বৈভব শর্মা উভয়েই ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। তিন ও চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে যশ ধুল ও ক্ষিতীজ শর্মা উভয়েই গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন অর্থাৎ, এক বলেই আউট হয়ে বসেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা বৈভব কান্দপালও শূন্য রানে আউট হন।
মাঝে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন হিম্মত সিং ভরাডুবির হাত থেকে উদ্ধার করেন দিল্লিকে। তিনি ঝোড়ো শতরান করে দলকে ইনিংস হারের লজ্জা এড়াতে সাহায্য করেন। দিল্লি দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান তোলে। হিম্মত সিং ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৬ রানে নট-আউট থাকেন উইকেটকিপার লক্ষ্যয়। আপাতত দিল্লির হাতে লিড রয়েছে ৫৩ রানের।