চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ জিতল উদয় সাহারান এবং পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে। এদিন ভারতের তরুণ ক্রিকেটাররা হারালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পেল তারা। ২০১ রানে ম্যাচ নিজেদের নামে করে নিল ভারত। সৌজন্যে আর্শিন কুলকার্নির দুর্দান্ত শতরান। তিনি হন ম্যাচের সেরা। এছাড়া নমন তিওয়ারির তরফ থেকে আসে বিধ্বংসী বোলিং। অন্যদিকে, এই হারের সঙ্গে খালি হাতে নিজেদের দেশে ফিরবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। গ্রুপ পর্বের একটিও ম্যাচ জেতেনি তারা। এদিন তাদের ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগকেই একেবারে ছন্দহীন দেখায়। কোনও ভাবেই তারা দাঁড়াতে পারেনি ভারতের তরুণদের সামনে।
রবিবার, অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ঋষি রমেশ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৩২৬ রান। সর্বোচ্চ ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন আর্শিন কুলকার্নি। এছাড়াও মুশির খান করেন ৭৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট তোলেন অতীন্দ্র সুব্রমনিয়ন এবং একটি করে উইকেট পান ঋষি রমেশ, অরিন নাদকার্নি ও আর্য গার্গ।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৫ রান তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দলের কোনও ব্যাটারই খেলতে পারেননি অর্ধশতরানের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চারটি উইকেট তোলেন নমন তিওয়ারি এবং একটি করে উইকেট পান রাজ লিমবানি, সৌমি পান্ডে, মুরুগান অভিষেক ও প্রিয়াংশু মলিয়া। ম্যাচের সেরা হন আর্শীন কুলকার্নি।
প্রসঙ্গত, এদিন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আর্শিন কুলকার্নি দাবি করেন যে নিজের মা-বাবার সামনে শতরানের ইনিংস খেলতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত। তরুণ ক্রিকেটারের বক্তব্য, 'এটা আমাদের কাছে বিশেষ ম্যাচ। আজ শতরান করে আমি খুবই খুশি। বিশেষ করে নিজের মা-বাবার সামনে এমন পারফরম্যান্স দেখাতে পারার জন্য খুব গর্ববোধ হচ্ছে। ওপেনারদের কাছে প্রথম কয়েকটি ওভার খেলা খুব চাপের ছিল আজ। বল দুদিকেই মুভ করছিল। আমার প্রিয় শট হচ্ছে সুইপ শট। ওটা আমি আজ অনেকবার খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। এছাড়াও পেসরদের বিরুদ্ধে ডিপ স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে ছয় মারাটা বেশ আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছিলাম।'