এশিয়া কাপ ২০২৩ গ্রুপ রাউন্ডের আগেই সুপার ফোর রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে। প্রথম সুপার-ফোর ম্যাচটি ৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে খেলা হয়েছিল। যেখানে ম্য়াচটি সাত উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। সুপার-ফোরে এখন মোট পাঁচটি ম্যাচ খেলা হতে বাকি রয়েছে এবং এই সবকটি ম্যাচই শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচগুলি কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সপ্তাহ জুড়ে কলম্বোর এই অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার এশিয়া কাপ ২০২৩ এর গ্রুপ লিগের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল এবং এখন কলম্বোতে খেলার ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। Accuweather.com-এর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী রবিবারের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক বেশি। এশিয়া কাপ ২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচটি ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন আবহাওয়া ভালো থাকতে পারে। তবে এমন হলে ফাইনালে উঠবে কোন দুটি দল। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আসুন বুঝে নেওয়া যাক সুপার ফোরের বাকি সব ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে ফাইনাল হবে কোন দুটি দলের মধ্যে? এমনটা হলে এটা নিশ্চিত যে পাকিস্তান দল সবার আগে ফাইনালে ওঠার টিকিট পাবে। সুপার ফোরে সব দলকে একে অপরের বিরুদ্ধে একটি করে ম্যাচ খেলতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি দলকে মোট তিনটি করে ম্যাচ খেলতে হবে এবং সুপার-ফোরে মোট ছয়টি ম্যাচ খেলা হবে। সুপার ফোরের একটি ম্যাচ জিতে আপাতত পাকিস্তান দুটি পয়েন্ট অর্জন করেছে এবং এমনকি যদি তার বাকি দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে তাঁর অ্যাকাউন্টে মোট চার পয়েন্ট থাকবে এবং পয়েন্টের ভিত্তিতে বাবর আজমরা ফাইনালে উঠে যাবে।
সেক্ষেত্রে বাকি তিন দলের কী হবে? বাংলাদেশ একটি ম্যাচ হেরেছে এবং তার বাকি দুটি ম্যাচ ধুয়ে গেলেও, এই পরিস্থিতিতে তারা মাত্র দুই পয়েন্টে পৌঁছতে সক্ষম হবে, যেখানে ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রতিটি ম্যাচ বাকি আছে এবং যদি এই ম্যাচগুলি বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় তাহলে তাদের উভয়ের অ্যাকাউন্টে তিন পয়েন্ট করে থাকবে। গ্রুপ লিগের পয়েন্ট সুপার ফোরে কোনও ভাবেই ক্যারি ফরোয়ার্ড হবে না। এখন এমন পরিস্থিতিতে, আমরা যদি নেট রান রেট নিয়ে কথা বলি, ম্যাচ না খেলতে পারলে উভয়ের জন্যই এটিও শূন্য থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান, ভারত বা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কে অগ্রাধিকার পাবে? এ নিয়ে অনেক সাসপেন্স রয়েছে।
পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক ফাইজান লাখানি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে যদি ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয়ের পয়েন্ট এবং নেট রান রেট সমান হয়, তাহলে তাদের মধ্যে টস করে ফাইনালে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে পাকিস্তান আগে থেকেই ফাইনালে জায়গা পাবে। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত বা শ্রীলঙ্কা যে কোনও একটি দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। তবে এ মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের চারটি দেশের ক্রিকেটার এবং ভক্তরা চাইবেন যে, যে কোনও প্রকারে যেন সুপার ফোরের ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হয় এবং বৃষ্টির কালো ছায়া যেন এই ম্যাচ গুলোর উপর থেকে কেটে যায়।