শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়া কাপে জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে খেলেছেন মহম্মদ শামি। এছাড়া এখন পর্যন্ত ভারতের কোনও ম্যাচে প্রথম একাদশে আর খেলার সুযোগ পাননি মহম্মদ শামি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে। শামির দলে না থাকার পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়ার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। জসপ্রীত বুমরাহ ফিরে আসার পরে তাঁর পারফরম্যান্সেও যে তিনি সন্তুষ্ট, তা জানিয়ে দিয়েছেন মামব্রে। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের আগে বুমরাহর দলে ফিরে আসা যে দলকে শক্তিশালী করবে তা মেনে নিয়েছেন পরশ মামব্রে।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে পরশ মামব্রে জানিয়েছেন, 'আমরা এনসিএ থেকে বুমরাহর প্রগতির উপর নজর রেখেছি। যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি তাতে আমরা খুব খুশি। আমাদের হাতে এই মুহূর্তে চারজন বিশ্বসেরা পেসার রয়েছে। আমাদের হাতে এই অপশন থাকাটা সবসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের সমস্যা থাকা সবসময় ভালো।'
পাশাপাশি পরশ মামব্রে জানিয়েছেন, 'মহম্মদ শামির মতো বিশ্বসেরা একজন বোলারকে দল থেকে বাদ দেওয়া কখনও খুব একটা সহজ কাজ নয়। যে ধরনের অভিজ্ঞতা ওর কাছে রয়েছে, তার কোনও তুলনা নেই। দেশের জন্য শামি যা করেছে তা এককথায় অনবদ্য। (দল থেকে একজন ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া) এইধরনের আলোচনা কোন সময়েই ভালো না। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে সকলে পরিষ্কার ছিলাম। সিদ্ধান্তের আগে আমরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা প্রত্যেকেই আমাদের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা দেখিয়েছে। ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই জানে যে আমরা যে সিদ্ধান্তটা নেব, সেটা দলের স্বার্থের কথা মাথাতে রেখেই নেব।'
হার্দিক পান্ডিয়ার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে পরশ মামব্রে জানান, 'হার্দিক যেভাবে আস্তে আস্তে ফিট হয়ে উঠেছে তাতে আমি খুব খুশি। আমরা ওকে সঠিক ফিটনেসে আনতে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করেছি একসঙ্গে। আমরা ওর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সব সময়ে মাথায় রেখেছি। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট করছি ওর ফিটনেসের কথা মাথাতে রেখেই। ও যাতে সম্পূর্ণ ফিট থাকতে পারে সেকথা মাথাতে রেখেই আমরা এটা করছি। ওর থাকে আমরা যেটা আশা করছি সেটা যাতে ও দিতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। একবার যদি হার্দিক ১৪০ কিমি গতিবেগ ওঠাতে পারে তাহলে বোলার হিসেবে তখন ও একেবারেই অন্যরকম। দলের দিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের কাছে ও একজন উইকেট শিকারি বোলার।'
তিলক বর্মার মতো ব্যাটারদেরকে দিয়ে বোলিং করানো প্রসঙ্গে বলেন, 'অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে আমি তিলক বর্মার সঙ্গে কাজ করছি। আমরা তখন দক্ষিণ আফ্রিকাতে ছিলাম। আমরা বুঝতে পারি তিলকের মধ্যে বল করার প্রতিভা রয়েছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি বিষয়টি নিয়ে। অধিনায়ক যদি আস্থা রাখতে পারে যে ও একটা ওভার বোলিং করতে পারে, তাহলে একটা সময় আসবে যে ওকে দিয়ে দুই ওভার বোলিং করানো হতে পারে। পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে তিলক বল করবে কিনা। যদি আমাদের অতিরিক্ত বোলারের দরকার হয় তখন বোলিং করতেও পারে।'