ড্রেসিংরুমে বাবর আজম এবং শাহিন আফ্রিদির মৌখিক লড়াই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক খবর সামনে আসছে। দুই তারকার লড়াইয়ের খবর অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পরে এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সানা মীর। তিনি এই বিষটি নিয়ে টুইট করেছেন। তিনি লেখেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে এটা একটা হৃদয় বিদারক খবর। বর্তমানে বাবর আজম সাজঘরে বা মিডিয়াতে যা বলেছেন সেই কথোপকথনকে ভক্তরা শেয়ার করছেন, এটা খুবই হাতাশার। যে কেউ এটিকে সেই রুম থেকে বের করেছে এবং সেটি শেয়ার করেছে। এর ফলে দলে চাপ বেড়েছে। এটা দলের পবিত্রতার পরিপন্থী। বর্তমানে যা ঘটেছে সেটা দলের বড় ক্ষতি। দলে কোনও ইনজুরি হলে যে ক্ষতি হয় এটা তার থেকেও বেশি।’
আসলে একটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ড্রেসিংরুমে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম এবং তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। বাবর যে কথা বলেছেন, তা ভালোভাবে নেননি শাহিন। আর শাহিনের কথাও ভালোভাবে নেননি বাবর। যদিও বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বোলনিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী সাজঘরেই দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন বাবর। পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘তোমরা দায়িত্ব নিয়ে খেলছ না।’ বড় মঞ্চে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিয়ে খেলার জন্য আর্জি জানান বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে বাবরের কথার মধ্যেই পালটা মুখ খোলেন শাহিন। যিনি এবারের এশিয়া কাপে পাঁচটি ম্যাচে ১০টি উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তানের তারকা পেসার বলেন, যাঁরা ভালো ব্যাট করেছেন বা বল করেছেন, তাঁদের তো প্রশংসা করা উচিত। সেই প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট কারও নাম করেননি বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। জানা যায় এরপরেই নাকি রেগে যান বাবর আজম। শোনা যায় এরপরে দুজনকে চুপ করানোর জন্য এগিয়ে আসেন মহম্মদ রিজওয়ান।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পরে এক সাক্ষাৎকারের সময় পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক মঈন খান এই বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দলের যদি কোনও সমস্যা থাকে তা বিশ্বকাপের আগে ঠিক করে নেওয়া দরকার। সমস্যা মিটে গেলে দল আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ড্রেসিংরুমের কোন বিবাদ ইন মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে চলে আসছে তা দলের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। ক্রিকেটারদের যদি বাবরের সঙ্গে সমস্যা থাকে, বাবর যদি প্রধান কোচ বা টিম ডিরেক্টরের অনুপস্থিতিতে কোনও সমস্যার ঠিকভাবে সমাধান না করতে পারে তাহলে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। কারণ এই ধরনের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করা অধিনায়কেরই কাজ।’