পারথের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩টি উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। মেলবোর্নের দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই ৫টি করে উইকেট দখল করেন অজি দলনায়ক। চলতি টেস্ট সিরিজে কামিন্স যে পাকিস্তানের ত্রাসে পরিণত হয়েছেন, সেটা বোঝা গেল সিডনির তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই।
সিডনি টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে অজি পেসারদের আগ্রাসনের সামনে শুরুতেই ধস নামে পাক ইনিংসে। মাত্র ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। শেষমেশ মহম্মদ রিজওয়ান, আঘা সলমন ও আমের জামালের পালটা লড়াইয়ে ভর করে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩০০ টপকে অল-আউট হয়ে যায়।
প্যাট কামিন্স ফের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। অর্থাৎ, সিরিজে টানা ৩টি ইনিংসে ৫ উইকেটের গণ্ডি টপকান অজি দলনায়ক।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক ও সয়িম আয়ুব উভয়েই শূন্য রানে আউট হন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শফিককে ফেরান মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে সয়িমকে সাজঘরের পথ দেখান জোশ হেজেলউড। পাকিস্তান মাত্র ৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন শান মাসুদ ৭০ বলে ৩৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার মারেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম দলকে খুব বেশিক্ষণ নির্ভরতা দিতে পারেননি। তিনি ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০ বলে ২৬ রান করে আউট হন। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সউদ শাকিল ১২ বলে ৫ রান করে মাঠ ছাড়েন।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ রিজওয়ান ৮৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ১০৩ বলের লড়াকু ইনিংসে পাক উইকেটকিপার-ব্যাটার ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন আঘা সলমন। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৭ বলে ৫৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটিতে দলের ইনিংসে ৮৪ রান যোগ করেন সলমন।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাজিদ খান ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন। নয় নম্বরে ব্যাট করে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আমের জামাল। ৯৭ বলের মারকাটারি ইনিংসে তিনি ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি হাসান আলি। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মীর হামজা। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৭৭.১ ওভার ব্যাট করে ৩১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
প্যাট কামিন্স ৬১ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ৭৫ রানে ২টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ১টি করে উইকেট দখল করেন জোশ হেজেলউ, নাথান লিয়ন ও মিচেল মার্শ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬ রান সংগ্রহ করে। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ৬ রান করে নট-আউট থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার, যিনি নিজের কেরিয়ারের শেষ টেস্টে মাঠে নেমেছেন।