গাব্বায় হেরে বসায় ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে অজিদের। এবার ওয়ান ডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করে রাগ মিটিয়ে নিলেন স্টিভ স্মিথরা।
মেলবোর্ন ও সিডনির প্রথম ২টি ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া আগেই ওয়ান ডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল। এবার ক্যানবেরায় নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচেও ক্যারিবিয়ানদের বিধ্বস্ত করে অজিরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মোটে ৭ ওভারের মধ্যেই তৃতীয় ওয়ান ডে জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
মানুকা ওভালে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। তারা ১০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। ২৪.১ ওভারে মাত্র ৮৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওপেন করতে নেমে আলিক আথানাজে ৩২ রান করেন। ৬০ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কেসি কার্টি ২২ বলে ১০ রান করেন। রোস্টন চেস ২৬ বলে ১২ রানের যোগদান রাখেন। ওটলি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৮ রান করেন। ক্যাপ্টেন শাই হোপ ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ রান করে মাঠ ছাড়েন।
খাতা খুলতে পারেননি টেডি বিশপ, ম্য়াথিউ ফোর্ড, গুড়াকেশ মোতি ও ওশেন থমাস। রোমারিও শেফার্ড ১ ও আলজারি জোসেফ ৬ রানের যোগদান রাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে মোটে ৫টি বাউন্ডারি দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার জেভিয়ার বার্টলেট ২১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন ল্যান্স মরিস ও অ্যাডাম জাম্পা। ১টি উইকেট নেন শন অ্যাবট। উইকেট পাননি ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলয়া মাত্র ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৮৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৫৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৮ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩৫ রান করে নট-আউট থাকেন জোশ ইংলিস।
ম্য়াচের সেরা হন জেভিয়ার বার্টলেট। তিনি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন, যেটি ছিল তাঁর অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে অভিষেক ম্যাচ। মাঝে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামেননি জেভিয়ার। অর্থাৎ, কেরিয়ারের প্রথম ২টি ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন বার্টলেট। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ১০০০তম দলগত ম্যাচ। ভারতের পরে দ্বিতীয় দল হিসেবে ১০০০ ওয়ান ডে খেলার নজির গড়ে অস্ট্রেলিয়া। এমন মাইলস্টোন ম্যাচে বাকি থাকা বলের নিরিখে নিজেদের সব থেকে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ২৫৯ বলের ব্যবধানে জয়ের আগে তাদের সর্বকালীন রেকর্ড ছিল আমেরিকার বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়া আমেরিকাকে হারিয়ে দেয় ২৫৩ বল বাকি থাকতে।