পারথের পর মেলবোর্ন। পাকিস্তানকে ফের বধ করল অস্ট্রেলিয়া। দাপটের সঙ্গে উড়িয়ে দিল পাকিস্তানের ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগকে। ৭৯ রানে জয় পেল প্যাট কামিন্স ও তাঁর বাহিনী। এই জয়ের সুবাদে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিরিজ পকেটে তুললো তারা। একই সঙ্গে সিরিজ হেরে চাপে পড়লো পাকিস্তান। সদ্য অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়া শান মাসুদ বড় ধাক্কা খেলেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিরিজ জয়ের খুশি প্রকাশ করেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি জানান যে পিচ থেকে সবরকমের সাহায্য তারা পেয়েছে এবং মহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের।
শুক্রবার ছিল চতুর্থ দিনের খেলা। এদিন ৬ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৬২ রানে। সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেন দলের তারকা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। এছাড়া অর্ধশতরান আসে স্টিভ স্মিথ (৫০) এবং অ্যালেক্স (৫৩) ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট পান শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং মীর হামজা। এছাড়া দুটি উইকেট তোলেন দলের তরুণ পেসার আমির জামাল। পাকিস্তানকে ৩১৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় অস্ট্রেলিয়া।
রান তাড়া করতে নেমে গোটা দল প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় ২৩৭ রানে। আবারও ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। তিনি করেন ৬০। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৭টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও অর্ধশতরান আসে আগা সালমানের ব্যাট থেকে। তাঁর সংগ্রহ ৫০। তাঁর ঝুলিতে ছিল মাত্র ৬টি বাউন্ডারি। এছাড়া কেউ বড় রান করতে পারেননি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। মাত্র ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাক ব্যাটিং লাইনআপ।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে পাঁচটি উইকেট তোলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি হন ম্যাচের সেরা। এছাড়া চারটি উইকেট তোলেন স্টার্ক এবং একটি নেন হেজেলউড। বলা ভালো কামিন্স-স্টার্ক দাপটে উড়ে গেল পাকিস্তান। এই ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরিজ পকেটে তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্ন ম্যাচ হেরে ফের যেন একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল পাক শিবির।
প্রসঙ্গত, এদিন ম্যাচের সেরা হয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানান যে এই পারফরম্যান্সে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন এবং বোলাররা পিচ থেকে সবরকমের সাহায্য পেয়েছে। তিনি বলেন, 'মেলবোর্নের মাঠে খেলাটা আমি বরাবরই উপভোগ করি এবং আজকে এই জয় পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। পিচ থেকে আমরা সবরকমের সাহায্য পেয়েছি এবং পিচে বল ভালই বাউন্স করছিল। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি যেটা সবচেয়ে ভালো ব্যাপার। বিশেষ করে রিজওয়ানের উইকেটটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ওটাই ম্যাচের পুরো মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। স্টিভ আর মিচ দুজনেই ভালো পার্টনারশিপ করেছে বলেই এই জয়টা আমরা পেয়েছি।'