ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৪ প্রায় সামনে চলে এসেছে। আইপিএলের ১৭ তম মরশুমের আগে, চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) খেলোয়াড় মইন আলি এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০২৪-এ নিজের চমক দেখাচ্ছেন। ৩৬ বছর বয়সী ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার মঙ্গলবার বিপিএলের ২৯তম ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান দলের অংশ ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন আলি। তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন এবং তারপর বল হাতে হ্যাটট্রিক করেন। এদিন তিনি ব্যাট হাতে ২৪ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান।
২৪০ রান তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। মইন ১৭তম ওভারে হ্যাটট্রিক করে চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস শেষ করেন। মইন আলির এই ওভারের প্রথম বলেই শহিদুল ইসলামকে (২) স্ট্যাম্প আউট করান তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে আল-আমিন হোসেন (০) আউট হন। তিনি ক্যাচ আউট হন। ওভারের তৃতীয় বলে বিলাল খানকে (০) রানে বোল্ড করেন মইন আলি। মইন ৩.৩ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন। চতুর্থ শিকার হিসেবে ১৫তম ওভারে শাইখাত আলির (৩৬) উইকেট নেন তিনি। তাঁর দল ৭৩ রানে জয়ী হয়।
মইন, উইল জ্যাকস এবং অধিনায়ক লিটন দাস মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। জ্যাক সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৫০ বলে ১০৮ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি ছক্কা ও ৫টি চার ছিল। প্রথম উইকেটে দাসের সঙ্গে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। লিটন দাস ৩১ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ রান করেন। মইন আলি ১১ ম্যাচে ৮.১১ ইকোনমি রেটে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি শেষ হওয়া SA20-তে জবার্গ সুপার কিংসের হয়ে ১২৭.০৬ স্ট্রাইক রেটে আট ইনিংসে ১৬৯ রান করেছিলেন।
এই ম্যাচের কথা বললে, টসে হেরে যাওয়ার পরে প্রথমে ব্যাট করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানরা স্কোর বোর্ডে ২৩৯/৩ রান তোলে। প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাস ৩১ বলে ৬০ রান করেন এবং ৭.৫ ওভারে ৮৬ রান তুলে সাজঘরে ফিরে যান। এরপরে উইল জ্যাক ৫৩ বলে অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তোহিদ হৃদয় শূন্য রানে ফিরে যান। এরপরে ব্রক গেস্ট ১১ বলে ১০ রান করেন। উইল জ্যাকের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান মইন আলি। ব্য়াট হাতে ৫৩ রান করেন তিনি। ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ১৬৬ রানেই শেষ হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। তানজিদ হাসান ২৪ বল ৪১ রান করেন। ১১ বলে ৩৬ রান করেন সৈকত আলি। রিশাদ হোসেন ও মইন আলি চারটি করে উইকেট নিয়েছেন এবং মুস্তাফিজুর রহমন ২টি উইকেট নিয়েছিলেন।