এমন আজব ঘটটাও ঘটতে পারে! সেন্ট লুসিয়া কিংসের ওপেনার জনসন চার্লস তো বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচার পাশাপাশি, আউটের হাত থেকেও বাঁচলেন। একেই বোধহয় বলে, ‘রাখে হরি, মারে কে’!
শনিবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল সেন্ট লুসিয়া কিংস। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল সেন্ট লুসিয়া কিংস। আর ওপেন করতে নেমে জনসন চার্লস একটি স্কুপ শট মারার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা তো মারতে পারেনইনি। একটুর জন্য বড় চোটের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
আরও পড়ুন: আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বের এক নম্বর ODI টিম হিসেবে এশিয়া কাপ খেলতে নামবে পাকিস্তান
চার্লসও শট নেওয়ার চেষ্টা করার সময়েই ঘটে আজব একটি ঘটনা। বল লেগে তাঁর নিজের হেলমেট খুলে যায়। হেলমেট খুলে বল যে বাজে ভাবে কোথাও আঘাত করেনি, সেটাই বাঁচোয়া। তবে হেলমেট খুলে যাওয়ায় জনসন চার্লস প্রায় আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেটাও হয়নি। তাঁর ভাগ্য নিঃসন্দেহে ভালো যে, বল তাঁর মুখে লেগে গুরুতর চোট তিনি পাননি। এবং আউট হওয়ার হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে কিংসের ইনিংসের ১২তম ওভারে, যখন ডোয়েন ব্র্যাভোর লো ফুল-টস বল পেয়ে ফাইন-লেগে মারার চেষ্টা করেছিলেন জনসন চার্লস। বল ব্যাটে লাগলেও, ঠিক মতো ব্যাটে-বলে হয়নি। বলটি লাফিয়ে উঠে চার্লসের হেলমেটে এসে আঘাত করে। হেলমেট খুলে ছিটকে যায়। আসলে বলের গতিতেই ঘটনাটি ঘটে। সেই সময়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন চার্লস। হেলমেটটি ছিটকে স্টাম্পে গিয়ে লাগছিল। সেটা দেখে কোনও মতে পা দিয়ে ফুটবলের শট খেলে চার্লস হেলমেটটি দূরে সরিয়ে দেন।এর ফলে তিনি চোট এড়ানোর পাশাপাশি আউটের হাত থেকেও বেঁচে যান।
এদিন চার্লস ৩১ বলে ৩৭ রান করেন। চার্লসের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। কিংসের অধিনায়ক এদিন হাফসেঞ্চুরি করেন। ৩৬ বলে ঝোড়ো ৫৭ রান করে তিনি আউট হয়ে যান। প্রথম উইকেটে ফ্যাফ-চার্লস জুটি মিলে করে ৮৫ রান। এছাড়া ২৩ বলে ৩২ করেছেন সিকান্দার রাজা। কিংসকে তাদের নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে। নাইটদের হয়ে ডোয়েন ব্র্যাভো এবং আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: রাহুল খেলবেন, নাকি ইশান? কী হবে বাবরদের বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার?
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৩১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ওপেন করতে নেমে মার্ক দয়ালের ১৯ বলে ৩৩ রান শুরুতে ভরসা হয়েছিল নাইটদের। এছাড়া দলের অধিনায়ক ১৫ বলে ঝোড়ো ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু বাকিদের দশা তথৈবচ। আকিল হোসেন এবং আন্দ্রে রাসেল তাও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পেরেছেন। বাকিরা তো এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছে। ১৪.৫ ওভারে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় নাইটরা। কিংসের হয়ে একাই চার উইকেট নেন খারি পিয়েরে। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রোস্টন চেজ এবং সিকান্দার রাজা।