মাথার উপর ধোনি থাকলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারের পরে চেন্নাই দলনায়কের ভাবখানা এমনই। মরশুমের প্রথম হারের পরে রুতুরাজ গায়কোয়াড় স্পষ্ট জানালেন যে, পরপর ২টো ম্যাচ জেতার পরে একটা ম্যাচে খারাপ পারফর্ম্যান্স হতেই পারে। তাতে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
যদিও দিল্লির বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় চেন্নাই যে ডাকাবুকো ক্রিকেট উপহার দিতে পারেনি, সেটাও জানাতে ভোলেননি রুতুরাজ। তাঁর দাবি, রান তাড়া করার সময় চেন্নাই সর্বদাই পিছিয়ে ছিল। বড় ওভারে প্রয়োজনীয় রান-রেট কমাতে পারেননি তাঁরা।
হারের কারণ হিসেবে চেন্নাই দলনায়ক একাধিক বিষয় চিহ্নিত করেন। প্রথমত, দিল্লি পাওয়ার প্লে-তে দারুণ ব্যাট করে। দ্বিতীয়ত, বড় রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই পাওয়ার-প্লে যথাযথ ব্যবহার করতে পারেনি। তৃতীয়ত, প্রথম ইনিংসে পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল তবে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পঞ্জি বাউন্স দেখা যায়, যার সঙ্গে সড়গড় হওয়া সহজ ছিল না।
রুতুরাজ বলেন, ‘দিল্লি পাওয়ার প্লে-তে অত রান তোলার পরে বোলাররা যেভাবে ঘুরে দাঁড়ায়, তাতে খুশি। ওদের ১৯১ রানে আটকে রাখার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। প্রথম ইনিংসে পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বলের বাড়তি নড়াচড়া ও স্পঞ্জি বাউন্স দেখা যায়।’
সিএসকে দলনায়ক পরক্ষণে বলেন, ‘বিরতিতে মনে হচ্ছিল এই রান তাড়া করা যাবে। তবে বাড়তি বাউন্সের জন্যই কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া আমরা পাওয়ার-প্লে যথাযথ ব্যবহার করতে পারিনি। আমরা সব সময়ই পিছিয়ে ছিলাম। প্রয়োজনীয় রান-রেট কমানোর জন্য বড় ওভার দরকার ছিল, যেটা আমরা পারিনি।’
শেষে গায়কোয়াড় বলেন, ‘পরপর ২টো ম্যাচ জেতার পরে একটা ম্যাচে একটু খারাপ পারফর্ম্যান্স হতেই পারে। তাতে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। ২-৩টে শট এদিক-ওদিক হলে অথবা কয়েকটা বাউন্ডারি বাঁচাতে পারলেই ছবিটা অন্যরকম হতে পারত।’
উল্লেখ্য, রবিবার ভাইজ্যাগে আইপিএল ২০২৪-এর ১৩তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচে দিল্লির কাছে ২০ রানে পরাজিত হয় চেন্নাই। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দিল্লি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রানে আটকে যায়।