বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > BCCI-র পথে হাঁটল ইসিবি, সমান ম্যাচ ফি পাবেন পুরুষ-মহিলা ক্রিকেটাররা

BCCI-র পথে হাঁটল ইসিবি, সমান ম্যাচ ফি পাবেন পুরুষ-মহিলা ক্রিকেটাররা

ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দল। ছবি-টুইটার

মহিলাদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ইসিবি। পুরুষ ক্রিকেটারদের সমতূল্য ম্যাচ ফি পাবেন মহিলা ক্রিকেটাররা।

শুভব্রত মুখার্জি: এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ইসিবির তরফে জানিয়ে দেওয়া হল তাদের পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটাররা সম পরিমাণ ম্যাচ ফি পাবেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মেয়েদের ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। এই সিরিজ শুরুর আগেই দারুন সুখবর পেল ইংল্যান্ডের মহিলা দল। এই সিরিজ থেকেই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে পুরুষ এবং মহিলাদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে ইসিবি। বুধবার ইসিবির তরফে এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই কাজ অবশ্য ইসিবি প্রথম করল না। পুরুষ এবং মহিলাদের ক্রিকেটে সমান ম্যাচ ফি চালু করা চতুর্থ দেশ হল ইংল্যান্ড। তাদের আগেই এই ব্যবস্থা চালু করেছিল নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড। এই বিষয়ে পথপ্রদর্শক নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। গত বছরই নিউজিল্যান্ড ও ভারত এটি চালু করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় চালু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে। ম্যাচ ফি শুধু ম্যাচে অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়।

চলতি বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটাররা প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচের জন্য পাঁচ হাজার পাউন্ড এবং প্রতিটি টি-২০'র জন্য ৩০০০ পাউন্ড করে টাকা পেয়ে থাকেন। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি-র থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইসিবির তরফে জানা গিয়েছে তারা মহিলাদের ম্যাচ ফি পুরুষদের সমান করেছে দুটি কারণে। গত জুনে ইনডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইকুইটি ইন ক্রিকেট (আইসিইসি) একটি প্রতিবেদনে জানায়, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে মহিলাদের গড় বেতন পুরুষদের বেতনের মাত্র ২০.৬ শতাংশ। তারা পরামর্শ দেয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০২৯ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলাদের বেতনে যাতে করে সমতা নিয়ে আসা সম্ভব হয়।

পাশাপাশি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটের দর্শক বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অর্থাৎ মহিলা ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুন-জুলাই মাসে ৭টি অ্যাশেজ ম্যাচে ১ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক মাঠে উপস্থিত হন। ইসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ড জানিয়েছেন, ‘গরমে মেয়েদের অ্যাশেজে রেকর্ড উপস্থিতি ও টিভি দর্শকের মাধ্যমে বোঝা গিয়েছে যে এই দেশে মহিলাদের ক্রিকেট সামনের দিকে এগোচ্ছে। আমরা আইসিইসির সব পরামর্শই বিবেচনা করেছি। ম্যাচ ফি সমান করা তারই একটা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ বলা যায়। আমরা চাই, মহিলা ক্রীড়াবিদরা দলগত খেলা হিসেবে ক্রিকেটকেই বেছে নিক।’

বন্ধ করুন