এই মুহূর্তে ধরমশালায় নিজে ক্রিকেট জীবনে শততম টেস্ট খেলছেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা স্পিনার তথা অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শততম টেস্ট উপলক্ষে তাঁকে ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের উপস্থিতিতে দেওয়া হয় বিশেষ সম্মান। নিজের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি কামাল করে দেখিয়েছেন। কুলদীপ যাদব পাঁচ উইকেট নিলেও, তিনিও নিয়েছেন চারটি উইকেট। যা রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারকে।
তবে এবার তারকা অলরাউন্ডারকে নিয়ে নিজেদের বিবাহ জীবনের কথা তুলে ধরলেন অশ্বিন পত্নী প্রীতি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তিনি লেখেন যে যেহেতু সাত পাকে বাঁধার আগে তাঁরা ডেট করেননি, তাই অশ্বিন তাঁকে একেবারেই প্রস্তুত করাননি বিবাহিত জীবনের জন্য। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন যে কীভাবে এই দম্পতি বিবাহের পরেই সংবাদ মাধ্যমের নজরে এসেছিলেন।
অশ্বিন পত্নী প্রীতি লেখেন, 'যেহেতু বিয়ের আগে আমরা একে অপরকে ডেট করিনি, তাই ও আমাকে বিয়ের জন্য জোর করেনি। বিয়ের পরই আমরা কলকাতা চলে যাই কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ ছিল বলে। আমি একেবারেই ভাবতে পারিনি যে মিডিয়ার সমস্ত নজর আমাদের উপর থাকবে। আমার এখনও মনে আছে সেই মুহূর্তটা যখন ও ওয়েডিং থালি বাঁদছিল। আমি দেখছিলাম চারিদিকেই ফটোগ্রাফাররা আমাদের ছবি তুলছিল এবং যাকে আমরা ভাড়া করেছিলাম ছবি তোলার জন্য তাকেই দেখতে পাচ্ছিলাম না। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে একজন ক্রিকেটারের স্ত্রী হলে ঠিক এমনটাই হয়।'
এরপরই প্রীতি অশ্বিন জানান কিভাবে তাঁর স্বামীর অনুপস্থিতির জন্য প্রথমদিকে সমস্যা হতো। তিনি লেখেন, 'জানি না আমি এই খেলাটাকে কতো ভালোবাসি, তবে আমি ওকে খুবই ভালোবাসি। হ্যাঁ, প্রথমদিকে একটু সমস্যা হতো, কিন্তু সেটা ওর সঙ্গে সংসার নিয়ে নয়। সমস্যা হতো এটাতেই যে কিভাবে ক্রিকেট ওকে দূরে রাখতো আমার থেকে। শুরুতে একটু কষ্ট হতো ঠিকই। যখন আমাদের সন্তান হয়, তখনও আমাকেই সবটা করতে হয়েছে। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি যে সাফল্য পেতে হলে অনেককিছু ত্যাগ দিতে হয়। তবে কোভিড ভয়াবহ একটা রোগ হলেও, আমার কাছে সেটা আশীর্বাদ হয়ে আসে এবং ওকে আমরা কাছে পাই। প্রথম ৮-৯ বছর আমাদের এক সঙ্গে থাকা আর না থাকা একই ছিল। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়।'