মধ্যপ্রদেশের কাছে রুদ্ধশ্বাস কোয়ার্টার ফাইনাল হেরে রঞ্জি ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন হনুমা বিহারী। তাঁর লড়াই সত্ত্বেও দল ম্যাচ হারায় হতাশা প্রকাশ করেন বিহারী। তবে সেই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে তুলোধনা করেন তাঁর সঙ্গে অন্যায় আচরণের জন্য়। ক্রিকেট সংস্থার আচরণে অপমানিত হনুমা ক্ষোভের সঙ্গেই জানিয়ে দেন যে, দলকে ভালোবাসলেও আর কখনও খেলবেন না অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে।
হনুমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এটাও স্পষ্ট যে, ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতিবিদদের প্রভাব কতটা। ভারতের হয় ১৬টি টেস্ট খেলা বিহারীর অভিযোগ, খেলার মাঝে দলের এক ক্রিকেটারকে বকাঝকা করেছিলেন, যাঁর বাবা একজন রাজনীতিবিদ। সেই ক্রিকেটারের রাজনীতিবিদ পিতার নির্দেশেই অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা তাঁর ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেয়।
বিহারী নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘(মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে) আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছি। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। অন্ধ্রর হয়ে আরও একটি কোয়ার্টার ফাইনাল হেরে ব্যথিত। তবে কিছু বিষয় জানানোর উদ্দেশ্যেই এই পোস্ট। বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম। প্রথম ম্য়াচ চলাকালীন আমি দলের ১৭ নম্বর ক্রিকেটারকে বকাঝকা করেছিলাম। সে তার বাবাকে গিয়ে অভিযোগ করে। তার বাবা একজন রাজনীতিবিদ। সেই ক্রিকেটারের বাবা অ্যাসোসিয়েশনকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে।’
হনুমা সঙ্গে যোগ করেন, ‘গতবারের ফাইনালিস্ট বাংলার বিরুদ্ধে আমরা (প্রথম ইনিংসে) ৪১০ রান তাড়া করে টপকে যাই। তা সত্ত্বেও কোনও দোষ ছাড়াই আমাকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমি কোনও ক্রিকেটারকে কখনও কিছু বলিনি। তবে সংস্থার মনে হয়ে ওই খেলোয়াড় তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে গতবছর দলকে বাঁচাতে নিজের শরীর ছুঁড়ে দিয়েছিল, দলের স্বার্থে চোট নিয়ে বাঁ-হাতে ব্যাট করেছিল। যে গত ৭ বছরে অন্ধ্রকে ৫ বার নক-আউটে নিয়ে গিয়েছে এবং ভারতের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছে, সংস্থার কাছে তার থেকেও বড় মনে হয়েছে ওই ক্রিকেটার।’
শেষে বিহারী লেখেন, ‘অত্যন্ত বিব্রত ছিলাম। তবে আমি এই মরশুমে খেলা চালিয়ে গিয়েছে একটাই কারণে। আমি খেলাটাকে সম্মান করি এবং দলকে ভালোবাসি। দুঃখের বিষয় হল, অ্যাসোসিয়েশন ভাবে তারা যা বলবে খেলোয়াড়দের তাই শুনতে হবে। তারা ভাবে খেলোয়াড়রা তাদের জন্য মাঠে নামার সুযোগ পায়। ভীষণভাবে অপমনিত মনে হয়েছিল, তবে আজকের আগে এই নিয়ে কিছু বলিনি। আমি ঠিক করেছি যে, আর কখনও অন্ধ্রর হয়ে খেলব না, যেখানে আমি আত্মমর্যাদা হারিয়েছি। যেভাবে প্রতি মরশুমে আমরা উন্নতি করছি, তাতে ভীষণ আনন্দিত। তবে অ্যাসোসিয়েশন চায় না আমরা উন্নতি করি।’
স্বাভাবিকভাবেই বিহারীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়ে যায় যে, কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে ঝামেলার জেরে নেতৃত্ব খোয়াতে হয় বিহারীকে। যদিও বিশেষ খোঁজাখুঁজি করতে হয়নি কাউকে। কেননা হনুমা বিহারীর বিস্ফোরক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ঠিক পরেই কেএন প্রুধ্বীরাজ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতে জানান যে, তিনিই সেই ক্রিকেটার, যাঁর সঙ্গে বিহারীর ঝামেলা হয়েছিল। যদিও বিহারীর দাবি করা প্রতিটি তথ্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন ২৪ বছরের উইকেটকিপার, যিনি এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রর হয়ে ১টি মাত্র লিস্ট-এ ম্য়াচ খেলেছেন।
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।