ফুটবলের মাঠে জয়ের দোরগোড়ায় থাকা দলকে শেষ মুহূর্তে অকারণ সময় নষ্ট করতে দেখা যায় হামেশাই। ফুটবলাররা প্রায়শই প্লে-অ্যাক্টিং করে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সময় চুরির চেষ্টা করে থাকেন। কখনও কখনও রেফারির রক্তচক্ষুর মুখে পড়তে হয় বটে, তবে তার জন্য নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না সংশ্লিষ্ট ফুটবলার বা দলকে।
ক্রিকেটে স্পিরিট নিয়ে চর্চা হয় বিস্তর। তাই উচিত-অনুচিত নিয়ে হামেশাই দ্বন্দ্ব চলে ক্রিকেটবিশ্বে। সোমবার আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যালেঞ্জ লিগ প্লে-অফে এমন একটি ঘটনা ঘটে, যা নতুন করে ক্রিকেটের স্পরিটের আলোচনাকে উসকে দিতে পারে।
ভানুয়াটুকে আটকে ২০২৭ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে টিকে থাকতে মালয়েশিয়া এমন এক কাজ করে, যা তাদের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখে শেষমেশ। তবে ম্যাচ জিতেও প্রতিপক্ষ দলকে ছিটকে যেতে হয় দৌড় থেকে।
টুর্নামেন্টের সুপার সিক্স রাউন্ডে জায়গা করে নিতে হলে চার দলের গ্রুপের ৩ নম্বরে থাকতে হতো মালয়েশিয়া ও ভানুয়াটুকে। মালয়েশিয়াকে হারিয়ে দিয়ে পয়েন্টের নিরিখে তাদের সঙ্গে একাসনে বসে পড়ে ভানুয়াটু। তবে নেট রান-রেটে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে ওঠে মালয়েশিয়া।
নেট রান-রেটে এগিয়ে থাকতেই বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে মালয়েশিয়া। ম্যাচে স্কোর লেভেল হয়ে যাওয়ার পরে জিততে ১ রান দরকার ছিল ভানুয়াটুর। তবে তারা যদি চার মেরে ম্যাচ জিতত, তাহলে নেট রান-রেটে মালয়েশিয়াকে টপকে পরের রাউন্ডে উঠত। সেক্ষেত্রে ছিটকে যেতে হতো মালয়েশিয়াকে।
তবে মালয়েশিয়ার বোলার বিজয় উন্নি ইচ্ছা করে ওয়াইড বল করেন। ফলে চার মেরে ম্যাচ জেতার সুযোগ হাতছাড়া হয় ভানুয়াটুর। তারা ম্যাচ জেতে বটে, তবে হেরেও পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেয় মালয়েশিয়া। উভয় দল ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে। নেট রান রেটে মালয়েশিয়া (-০.৭২৪) সামান্য এগিয়ে থাকে ভানুয়াটুর (-০.৭৯১) থেকে।
ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে মালয়েশিয়া ৩৮ ওভারে ১২৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৪৪ রান করেন আহমেদ আকিল। ক্যাপ্টেন বীরনদীপ সিং ১০ রান করেন। মহম্মদ আমির করেন ১৯ রান। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন ভানুয়াটুর জোশুয়া রাসু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভানুয়াটু ২৯ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অ্যান্ড্রু মানসেল ২৯ ও প্যাট্রিক ২৫ রান করেন। খাইজার হায়াত ২৬ রানে ৫ উইকেট দখল করেন।