আন্দ্রে রাসেল যতদিন ছিলেন, ব্যাটে-বলে দলকে নেতৃত্ব নির্ভরতা দিচ্ছিলেন। তবে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে দ্রে রাস দল ছাড়তেই করুণ হাল আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের। তারা লিগের শেষ ২টি ম্য়াচে হেরে বসে। যদিও দুবাই ক্যাপিটলস নেট রান-রেটে নাইট রাইডার্সকে টপকাতে না পারায় শেষমেশ প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যায় সুনীল নারিনদের।
শনিবার দুবাইয়ে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে আবু ধাবি নাইট রাইডার্স লড়াইয়ে নামে গাল্ফ জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গাল্ফ জায়ান্টস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে।
ক্যাপ্টেন জেমস ভিন্স ওপেন করতে নেমে ৩৯ বলে ৫০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন অপর ওপেনার জর্ডন কক্স। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ক্রিস লিন ৭ বলে ৬ রান করে আউট হন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শিমরন হেতমায়ের। ৯ বলে ১১ রান করে নট-আউট থাকেন জেমি স্মিথ। তিনি ১টি চার মারেন।
নাইট রাইডার্সের হয়ে আলি খান ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন ইমদ ওয়াসিম। ক্যাপ্টেন সুনীল নারিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করেন। তবে কোনও উইকেট পাননি তিনি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রানে আটকে যায়। ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ হারে তারা। জেসন রয় ৩১ বলে ৪৭ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৩৪ রান করে নট-আউট থাকেন লরি ইভান্স। জো ক্লার্ক ২০, আলিশান শরাফু ২৯ ও ডেভিড উইলি ১১ রানের যোগদান রাখেন। সুনীল নারিন ২ রান করে আউট হন।
গাল্ফ জায়ান্টসের জেমি ওভার্টন ৩২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২২ রানে ২টি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডন। ম্যাচের সেরা হন ওভার্টন।
জায়ান্টসের কাছে হেরে যাওয়ায় নাইট রাইডার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। পরে এমআই এমিরেটসকে হারিয়ে দুবাই ক্যাপিটালসও ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয়। তবে নেট রান-রেটের নিরিখে নাইট রাইডার্স থাকে তিন নম্বরে। দুবাই অবস্থান করছে চারে। লিগের শেষ ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সকে শারজা যদি বিশাল ব্যবধানে হারিয়েও দেয়, তাহলেও লিগ টেবিলের প্রথম চারে থাকা নিশ্চিত সুনীল নারিনদের। সুতরাং, নাইট রাইডার্স নিশ্চিত করে ফেলে প্লে-অফের টিকিট।