বুধবার বেঙ্গালুরুতে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির প্রথম সুপার ওভারের সময়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ মহম্মদ নবির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। আসলে আফগানিস্তানের সুপার ওভারের শেষ বলে মুকেশ কুমারের ওয়াইড ইয়র্কার ব্যাটে লাগাতে পারেননি নবি। শেষ বল হওয়ায় রান নিতে দৌড়ান আফগানিস্তানের তারকা। উইকেটের পিছন থেকে বলটা ছুড়ে দেন ভারতের উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন। তা নবির পায়ে লেগে ওভারথ্রো হয়ে যায়। তাতে দৌড়ে আরও দু'রান নিয়ে নেন নবি এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাতেই তুমুল রেগে যান ভারত অধিনায়ক।
পায়ে লেগে বল যাওয়ার পরেও কেন আফগানিস্তানের তারকা রান নিয়েছেন, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন রোহিত। নবি স্পোর্টসম্যানসুলভ আচরণ না করাতেই চটেন রোহিত। নবির সঙ্গে তাঁকে কিছুটা উত্তেজিত ভাবেই কথা বলতে দেখা যায়। আফগানিস্তান যে অন্যায্য ভাবে সুবিধে নিয়েছেন, তা নিয়ে নবি এবং আম্পায়ার উভয়ের সঙ্গে তর্ক করেন রোহিত। কিন্তু সেই রান আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৩৬ বছর ২৭২ দিন বয়সে T20I-তে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইতিহাসে রোহিত, ভাঙলেন কোহলির রেকর্ড
নবি যখন দৌড়াচ্ছিলেন, তখন তিনি নিজের ‘লাইন’ পরিবর্তন করেননি। একটা সোজা পথেই দৌড়াচ্ছিলেন। উইকেটের উপরও দৌড়াচ্ছিলেন না নবি। অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ভুল করেননি আফগানিস্তানের তারকা। পুরোটাই 'স্পিরিট অফ ক্রিকেট'-র বিষয়। যে স্পিরিট নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিশেষজ্ঞদেরও মতে, নবি যে কাজটা করেছেন, তা ভুল করেননি।
আরও পড়ুন: T20I-তে প্রথম বার গোল্ডেন ডাকের লজ্জার মুখে কোহলি, ফরিদ আহমেদের মাথায় উঠল অসাধ্য সাধনের মুকুট
তবে এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে বিরাট কোহলির নামও। আসলে সঞ্জুর ছোড়া বলটি মুকেশের কাছে পৌঁছনোর আগেই নবির পায়ে লেগে সেই বল চলে যায় লং অফের দিকে। সেখানে ফিল্ডিং করছিলেন বিরাট কোহলি। বলটি তাঁর কাছে পৌঁছানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোহলি। তিনি বলটি তুলে ছুড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, প্রতিবাদে বলের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি নিজের পা তুলে ইশারা করে দেখান যে, বলটি নবির পায়ে লেগেছিল। তাতেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে এই বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নবির পাশেই দাঁড়িয়েছেন। আকাশ চোপড়ার মতে, রোহিত শর্মা এবং তাঁর দলের প্লেয়াররা নবির রান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঠিক কাজ করেননি। তাঁর মতে, ‘শেষ বলে একটি বাই দেওয়া হয়েছিল। সঞ্জু স্যামসন বলটি ছুড়ে দিয়েছিলেন, এটি নবির পায়ে আঘাত করেছিল এবং তারা দুটি অতিরিক্ত রান নেয়। ভারত স্পিরিট অফ দ্য গেম নিয়ে মূলত অভিযোগ করেছিল। তবে এই অভিযোগ করার ক্ষেত্রে ভারত একেবারেই ভুল ছিল।’