বৃহস্পতিবার উইকেটরক্ষক কেএস ভরত বলেছেন যে, প্রথম টেস্ট হারলেও, ভারতীয় দল মোটেও ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছে না। বরং ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক কৌশল মোকাবিলা করার জন্য তারা নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছে। আর এর মধ্যে বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টে প্রয়োজনের সময় সুইপ শট ব্যবহার করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিজের ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে ভরত বলেছেন যে, সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে তাঁর যে ত্রুটিগুলি হয়েছিল, সেগুলি নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথম টেস্টে ১৯০ রানে পিছিয়ে থাকার পরেও, ইংল্যান্ড দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে ২৮ রানে জয় ছিনিয়ে নেয়। ইংলিশ ব্যাটাররা, বিশেষ করে অলি পোপ, সুইপ এবং রিভার্স সুইপ দিয়ে ভারতীয় স্পিনারদের কৌশলকে ব্যাহত করেন। শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে টেস্ট শুরু হলেও ইংল্যান্ড একই ধারা অব্যাহত রাখতে চাইবে। ম্যাচের আগে কেএস ভরত সংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘ওরা সত্যিই খুব ভালো খেলেছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। অলি পোপ সত্যিই ভালো শট খেলেছে।’
চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত তাদের শীর্ষ ব্যাটসম্যান কেএল রাহুল এবং তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে পাবে না। সেই নিয়ে ভরত বলেছেন, ‘আমাদের টিম মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করেছি যে, আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম এবং হ্যাঁ, আমাদের অবশ্যই কিছু পরিকল্পনা আছে। (আমরা) নিশ্চিত ভাবে দেখছি যে, ওরা প্রথম খেলাটি কী ভাবে খেলল, রিভার্স খেলেছে ওরা। আমাদের এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই কাজ করতে হবে।’
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা, খুব বেশি সুইপ শট খেলেন না। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের আগে দু'টি প্রশিক্ষণ সেশনে সেই শট অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে। এর মানে কি হোম টিম বেশি স্কোয়ার অফ দ্য উইকেট খেলবে?
আরও পড়ুন: আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম- জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার ঘোর এখনও কাটেনি ধ্রুব জুরেলের
ভরত বলেছেন, ‘ভারতে খেলার সময়ে, আমরা এই পিচে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। এমন নয় যে, আমরা কী ভাবে সুইপ করতে, রিভার্স সুইপ করতে বা প্যাডেল করতে হয়, জানি না, তবে সেই নির্দিষ্ট দিনে দলের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, পুরোটাই ব্যাটসম্যানদের কল হয়ে থাকে। স্বাধীনতার সঙ্গে আমরা ব্যাট করে থাকি। আমরা প্রথম খেলার আগে রিভার্স অনুশীলনও করেছি। কিন্তু সেন্টারে খেলা, এটা ব্যাটারদের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা।’
৩০ বছর বয়সী এই তরুণ এও বলেছেন, ‘দল যদি আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে খেলার জন্য বলে, তা হলে আমরা তা মেনে নেব। আমরা বোলারদের দেখে খেলি না, আমরা বল দেখে খেলি। যে কোনও দিনের ক্ষেত্রে একই পরিকল্পনা, সে অভিজ্ঞ বা অনভিজ্ঞ (বোলার) হতে পারে, ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ বলে কিছু নেই। সেই নির্দিষ্ট দিনে, যদি কেউ ভালো বোলিং করে তবে আপনাকে অবশ্যই তাদের ক্রেডিট দিতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘দলের পরিবেশ একেবারেই স্বস্তিদায়ক। আমাদের আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছিল, যা আমরা নই-ও। কিন্তু তার পর নির্দেশ খুব স্পষ্ট, এটি একটি দীর্ঘ টেস্ট সিরিজ এবং আমরা অতীতে এরকম অনেক সিরিজ খেলেছি।’