শুভব্রত মুখার্জি:- ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ। ভারতীয় পরিবেশ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই যে উইকেট স্পিন সহায়ক হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রকম ২২ গজে স্বাভাবিকভাবেই পেসারদের জন্য খুব কম সাহায্য থাকে। এমন আবহে ভারতীয় ২২ গজে যেখানে বাউন্স খুব লো অর্থাৎ নীচু, সেখানে কিভাবে বল করলে আসতে পারে সাফল্য তা নিয়ে ইংল্যান্ডের পেসারদের উপদেশ দিয়েছেন অ্যালন ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন এই তারকা জানিয়েছেন যেহেতু ভারতের উইকেটে বাউন্স লো থাকবে ফলে স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প অর্থাৎ যত বেশি সম্ভব বল উইকেটের মধ্যে রাখতে হবে যাতে করে সাফল্য পেতে পারেন বোলাররা।
ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ খুব শক্তিশালী। সেই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে ফুল লেন্থ বল করার দিকে ইংল্যান্ড পেসারদের নজর দিতে বলেছেন ডোনাল্ড। পাশাপাশি ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষেত্রেও আরো বেশি আক্রমণাত্মক হতে বলেছেন তিনি। ডোনাল্ড দুইবার ভারত সফরে এসেছেন। ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯-০০ সালে ভারত সফর করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সিরিজটি ২-০ ফলে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ডোনাল্ড। শন পোলক, নান্তে হেওয়ার্ড, জ্যাক ক্যালিস এবং অ্যালান ডোনাল্ড সমৃদ্ধ বোলিং লাইন আপের সামনে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং আক্রমণকে। ওই সিরিজে ডোনাল্ড মুম্বইতে রাহুল দ্রাবিড় এবং চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকরের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন।
SA 20 চলাকালীন এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড, ইংল্যান্ডের ভারত সফর নিয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমাদের মাইন্ডসেট ছিল সবসময়ে আক্রমণাত্মক বোলিং করা। এই সময়ে হ্যান্সি ক্রোনিয়ে অধিনায়ক ছিল। ও নিজেও বেশ আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব করত। আমাদের কোচ বব উলমারের ভারতীয় পরিবেশ পরিস্থিতি সম্বন্ধে ভালো ধারণা ছিল। কারণ ভারতের পরিবেশে উলমারের খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। এখানে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা ছিল। উলমার ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা খুব ভালোভাবে বুঝতেন। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাইন্ডসেটটা উনি ভালোভাবেই বুঝতেন।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতাম পিচে ভালো ক্যারি থাকবে না। তাই প্রতিটা বল স্ট্যাম্পের মধ্যে করার চেষ্টা করেছি। যাতে প্রতি বলেই ব্যাটার খেলতে বাধ্য হয়। আর এতেই এসেছে সাফল্য। পিচে অল্প বাউন্স থাকার কারণে স্ট্যাম্পের মধ্যে থাকা বল সমস্যায় ফেলেছে ব্যাটারদের। নতুন বলে বল করার পরে বল যখন পুরনো হয়ে যাবে তখন নেগেটিভ ফিল্ড ব্যবহার করার কোন মানে নেই। তখন সুইপার রাখার কোন দরকার নেই। এই সময়ে কভারে অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখা যেতে পারে। ফলে ওই জায়গায় বোলাররা অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবে।’