ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-৪ ব্যবধানে হেরেছে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড দল। ইংল্যান্ড একমাত্র সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি জিতেছিল, এরপর ভারত টানা চার ম্যাচ জিতেছে। সিরিজ শেষ হওয়ার পর বেন স্টোকস ব্রিগেডের সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন। মাইকেল ভন ইংল্যান্ডের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, দলটি সিরিজে ক্লিকবেট ব্যাটিং খেলেছে। তিনি বলেছিলেন যে ইংলিশ দলের লক্ষ্য ভক্তদের কাছ থেকে ক্লিক এবং লাইক পাওয়া।
ধরমশালায় পঞ্চম টেস্টে ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ২৯ ও ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। এটি ছিল তার শততম টেস্ট। ভারত সিরিজে একটিও হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। মাইকেল ভন দ্য টেলিগ্রাফের জন্য তার কলামে লিখেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে ভারত সফরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা চিন্তার বিষয় ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি ধরমশালায় জনি বেয়ারস্টোর ১০০তম টেস্টে মাঠে ছিলাম এবং আমি বেয়ারস্টোকে দেখেছি। জনি বেয়ারস্টোর দুটো ইনিংসেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ইংল্যান্ড দলটি কী হয়ে উঠছে। বেয়ারস্টোর ইনিংসই এ প্রতীকী। আমি এটাকে বলব ক্লিকবেট বাইটিং। তারা ক্লিক, লাইক এবং ফলোয়ার পেতে শট খেলছে।
মাইকেল ভন আরও বলেন, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আছি। আপনি চমৎকার কিছু শট খেলেন এবং সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুগ্ধ হয় এবং তারপর আপনি আউট হন।’ প্রাক্তন অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘আমি তাঁর ব্যাটিং দেখি এবং উদ্বিগ্ন হয় যে বর্তমান সেটআপে কি ডিফেন্স একটি নোংরা শব্দ হয়ে উঠেছে। কারণ এটি যেন একটি নেতিবাচক হয়ে উঠেছে। আবার এটাও মনে হয় যে, এটা দেখিয়ে কি সে কভার করছে, কারণ হয়তো তাঁর রক্ষণটা ভালো নয়, সে হয়তো এটাতে বিশ্বাস করে না?’ ভন তরুণ স্পিনার শোয়েব বশিরের প্রশংসা করেছেন, যিনি তিন ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। দুটি ফিফার নিয়েছেন বশির। এটি ছিল বশিরের অভিষেক টেস্ট সিরিজ।
মাইকেল ভন বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড তাদের স্টাইল এবং বার্তা দিয়ে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু আপনার যদি বিশ্বমানের স্পিনার না থাকে তবে এটি কঠিন হবে। গ্রায়েম সোয়ানের পর বিশ্বমানের কোনও স্পিনার নেই। তবে শোয়েব বশিরের কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি। এমন ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকেও প্রত্যাশা আছে যারা সারাদিন ব্যাট করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় যে এটা চিয়ারলিডারদের নিয়ে গঠিত একটি ব্যাকরুম দল।’ তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জ করা এবং প্রশ্ন করা প্রয়োজন।’