রাজকোটে জ্যাক ক্রলির এলবিডব্লিউ নিয়ে অখুশি প্রকাশ করলেও বেন স্টোকসকে চলতি ভারত সফরে এসে পিচ নিয়ে নাকে কাঁদতে দেখা যায়নি। যদিও হাদরাবাদ, বিশাখাপত্তনম ও রাজকোট টেস্টের বাইশগজ নিয়ে হাহুতাশ করার মতো পরিস্থিতিও দেখা দেয়নি। ভারত সফরে এলে বিদেশি দলগুলি ঘূর্ণি বাইশগজে হবে বলে আশা করে। আগে থেকেই ধরে নেওয়া হয় যে, ভারতীয় দল নিজেদের সুবিধা মতো স্পিনারদের অনুকূলে বাইশগজ তৈরি করবে।
ইংল্যান্ড শিবির ভারতে আসার আগে আমিরশাহিতে অনুশীলন সারে সম্ভাব্য ঘূর্ণি পিচে খেলতে হবে ধরে নিয়েই। গত তিনটি টেস্টের বাইশগজে স্পিনারদের জন্য সাহায্য ছিল না এমন নয়। বল ঘুরেছে সব জায়গাতেই। তবে এমনটাও নয় যে, সেখানে রান করা নিতান্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ব্যাটসম্যানরা চলতি টেস্ট সিরিজে বিস্তর রান সংগ্রহ করেছেন।
সব থেকে অবাক করার বিষয় হল, ভারত-ইংল্যান্ড চলতি টেস্ট সিরিজে দাপট দেখিয়েছেন পেসাররাও। সিরিজে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। মহম্মদ সিরাজ, মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডারসনরাও উইকেট কুড়িয়েছেন। অর্থাৎ একথা বলাই যায় যে, চলতি টেস্টে সিরিজে পিচ থেকে কম-বেশি সাহায্য পেয়েছেন সকলেই।
সঙ্গত কারণেই পিচ নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরকে খুব বেশি হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। বেন স্টোকস জানেন যে, বাইশগজ নিয়ে কান্নাকাটি করা মানে নিজেদের দুর্বলতাকে সবার সামনে তুলে ধরা ছাড়া আখেরে কোনও লাভ হবে না। তার থেকে ভালো পিচ যেমনই হোক না কেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy 2024: নক-আউটের আগে রঞ্জির এলিট গ্রুপে সব থেকে বেশি রান কাদের? দেখুন সেরা ১০
এমন পরিস্থিতিতে রাঁচির চতুর্থ টেস্টের পিচ কেমন হবে, সেই বিষয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের অন্ত নেই। ম্যাচের দিন দু'য়েক আগে জেএসসিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের বাইশগজ নিয়ে বেন স্টোকসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি আকর্ষক তথ্য তুলে ধরেন পিচ নিয়ে। বলা ভালো যে, রাঁচির পিচের সম্ভাব্য চরিত্র কেমন হবে, সেই বিষয়ে ডিপ্লোম্যাটিক উত্তর দেন ব্রিটিশ দলনায়ক।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy 2024: জাতীয় দলে উপেক্ষিত ৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটার অবসর নিলেন একসঙ্গে
স্টোকস বলেন, ‘পিচ দেখে চমকপ্রদ মনে হচ্ছে, তাই নয় কি? জানি না (বাইশগজ কেমন আচরণ করবে), খুব বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। (ভারতে) এরকম কিছু আমি আগে কখনও দেখিনি। তাই আমার কোনও ধারণা নেই। কী হতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাকালে, সম্পূর্ণ আলাদা দেখাচ্ছে। এমনটা সচরাচর ভারতের বাইরে দেখা যায়। ড্রেসিংরুমের দিকে পিচ সবুজ ও ঘাসে ভরা দেখাচ্ছে। তবে ওদিকে গিয়ে দেখলে পিচ পুরোপুরি আলাদা দেখাচ্ছে। গাঢ় পিচে বেশ কিছু ফাটল দেখা যাচ্ছে এখনই।’
স্টোকসের কথা যথার্থ হলে, রাঁচি টেস্টের একপ্রান্ত দিয়ে পেসাররা এবং অপর প্রান্ত দিয়ে স্পিনাররা সাহায্যে পেতে পারেন। যদিও ম্যাচের আগে ঘাস ছাঁটা হলে পিচ স্পিনারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে পারে।