ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর ভারতের তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ধ্রুব জুরেল সম্পর্কে একটি বড় কথা বলেছেন। এমএস ধোনির সঙ্গে জুরেলের মন্তব্যটি স্পষ্ট করেছেন গাভাসকর। রাঁচিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসের সময়, জুরেল ব্যাট হাতে দারুণ একটি লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। জুরেল, নিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে, ৯০ রানের ইনিংস খেলার সময় অবিশ্বাস্য চরিত্র এবং ম্যাচ সচেতনতা দেখিয়েছিলেন। জুরেলের ইনিংসটি ছিল ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। জুরেল যখন লোয়ার-অর্ডারের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়ে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন জুরেলের সঙ্গে ধোনির তুলনা করছিলেন গাভাসকর।
ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় গাভাসকর বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সে ভালো ব্যাটিং করেছে, কিন্তু তার কিপিং, স্টাম্পের পিছনে তার কাজ সমানভাবে উজ্জ্বল। তার খেলা সচেতনতা দেখে আমি বলতে চাই যে তিনি দ্বিতীয় উঠতি এমএস ধোনি। আমি জানি অন্য কেউ MSD হতে পারে না, কিন্তু এটা বলতে চাই MSD যখন শুরু করেছিলেন তখন সে এই রকমই ছিল। সে একজন স্ট্রিট-স্মার্ট ক্রিকেটার।’ এর জবাবে জুরেল জানিয়েছিলেন এটা তাঁর জন্য বড় প্রাপ্তি।
সুনীল গাভাসকরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এমএস ধোনি একটি ভিন্ন লিগের একজন খেলোয়াড়। জুরেলের প্রতিভা আছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এমএস ধোনির, এমএস ধোনি হতে ১৫-২০ বছর লেগেছে। তাই তাকে (জুরেল) অনেক খেলতে হবে।’ এবার নিজের কথার যুক্তি সামনে তুলে ধরেছেন সুনীল গাভাসকর।
স্পোর্টস ট্যাকে সুনীল গাভাসকর বলেছেন, ‘সে খেলা নিয়ে যেভাবে চিন্তা করে, যেভাবে সে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এবং সেই অনুযায়ী ব্যাট করে, তা আমাকে এমএস ধোনির অনুভূতি দিয়েছিল। তিনি মাঝখানে একটি ছক্কা মারতেন এবং তারপর স্ট্রাইক ঘোরানোর জন্য একটি এবং দুটি রান খুঁজতেন। এমনকী, যেভাবে তিনি সেই ওয়েওয়ার্ড থ্রো সংগ্রহ করেছিলেন এবং বেন ডাকেটকে রান আউট করেছিলেন এবং তারপরে জিমি অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছিলেন সেটি অসাধারণ। এমএস ধোনি যখন তার বয়সী ছিলেন, তখন তারও একই পরিস্থিতি সচেতনতা ছিল। আর তাই আমি বলেছি, জুরেল এমএস ধোনির মতো। কেউ এমএস ধোনি হতে পারে না। একজনই এমএস ধোনি। তবে জুরেল যদি ধোনি যা করেছেন তার কিছু অংশও করতে পারেন, তবে তা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত হবে।’