শুভব্রত মুখার্জি:- সদ্য শেষ হওয়া ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ বিভিন্ন কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেট তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্পিনার এই সিরিজেই খেলেছেন তাঁর কেরিয়ারের ১০০তম টেস্ট। ধরমশালাতে এই শততম টেস্ট খেলেছেন তিনি। পাশাপাশি সিরিজের তৃতীয় টেস্ট অর্থাৎ রাজকোট টেস্ট ও ছিল তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্টেই তিনি তাঁর কেরিয়ারে লাল বলের ক্রিকেটে অর্থাৎ টেস্টে ৫০০টি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন। তবে এই টেস্ট চলাকালীন মাঝপথেই তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁর বাড়িতে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর মা। মা'র সংজ্ঞা হারানোর সংবাদ পেয়ে কিছুটা হলেও যে আতঙ্ক-ভয় গ্রাস করেছিল তাঁকে তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন তিনি।
রাজকোট টেস্ট চলাকালীন সেদিন ঠিক কি হয়েছিল বিস্তারিত জানিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, 'আমরা সেইদিনের খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাই। সেখানে আমাদের 'ডিব্রিফিং' (দিনের খেলার পর্যালোচনা) শুরু হওয়ার কথা ছিল। তারপর আমাদের হোটেলের ঘরে ফেরার কথা। রোহিত, আমি এবং অন্যান্যরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ম্যাচের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আমাদের কথা হচ্ছিল। এই সময়েই আমি হঠাৎ করেই অনুভব করি আমার পরিবার, আমার স্ত্রী বা আমার মা কারোর কাছ থেকেইতো আমার কাছে ফোন আসেনি! আমি ভেবেছিলাম ওঁরা হয়ত ব্যস্ত রয়েছে কল ধরতে অথবা কোন সাক্ষাৎকার দিতে। আমি আমার স্ত্রীকে রাত ৭টার দিকে কল করি। জিজ্ঞাসা করি বাবা-মা আমার ফোন কেন ধরছেন না? আমার স্ত্রীর গলা কাঁপছিল। আমি বুঝতে পারি কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। আমাকে আমার স্ত্রী একটু ভিড় থেকে আলাদা হতে বলেন। এরপর সে আমাকে জানায় যে আমার মা'র মাথাব্যথা হচ্ছিল এবং তারপরেই সে সংজ্ঞা হারায়।'
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কথাটা শুনে আমার ও মাথা কাজ করছিল না। চারদিকে কেমন যেন একটা শূন্যতা নেমে আসে। আমি বুঝেই উঠতে পারছিলাম না যে কিভাবে রিঅ্যাক্ট করব বা কি প্রশ্ন করব? আমি সেইসময় অঝোরে কাঁদছিলাম। আমাকে যাতে কেউ কাঁদতে না দেখে তাই লুকিয়ে কাঁদছিলাম এরকম ভাবার কোন কারণ নেই। এটা মুহূর্তের সঙ্গে হয়ে গিয়েছে। নিজের হোটেলের ঘরে ফিরে ও আমি কাঁদছিলাম। এরপর দলের ফিজিও আমার ঘরে আসে কারণ আমি কারোর ফোন তুলছিলাম না। রাহুল ভাই, রোহিত ভাইও এরপর এক এক করে আমার ঘরে আসে। আমার মনে আছে আমি ওদেরকে বলেছিলাম যে আমি কিছুই ভালো করে চিন্তা করতে পারছি না। আমি প্রথম একাদশে (রাজকোটে) খেলছিলাম। ম্যাচ তখনও ভারসাম্যে রয়েছে। আমি চলে গেলে দলের হাতে মাত্র ১০ জন ক্রিকেটার থাকবে। যারা পূর্ণশক্তির ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে। ফলে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, 'পাশাপাশি মাথাতে আমার চিন্তা হচ্ছিল আমার পরিবারকে নিয়েও। আমি মা'র কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। ভয় আমাকে গ্রাস করেছিল। আমি বিমানের খোঁজ করছিলাম। রাজকোট বিমানবন্দর ৬টার সময়ে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৬টার পরে আর কোনও বিমান পাওয়া যায় না। রোহিত ভাই আমাকে চিন্তা করতে বারণ করে। আমাকে বলে আমার জন্য একটা চাটার্ড বিমানের সে ব্যবস্থা করছে। চেতেশ্বর পূজারাকে আমি অশেষ ধন্যবাদ জানাব। ও আমার জন্য আমদাবাদ থেকে একটা বিমান খুঁজে দেয়। রাজকোটে চলে আসে আমাকে নিতে। আমার এখন ও মনে নেই ওই দুই ঘন্টা কিভাবে কেটেছে।'
গম্ভীর-ধোনির আসা যাওয়া, রোহিত-হার্দিকের রেষারেষি, কামিন্স-স্টার্কের জারিজুরি, আইপিএল ২০২৪-এর সব খবর, লাইভ ক্রিকেট স্কোর, আইপিএলের সূচি 2024, সব তথ্য পান এক ক্লিকে। গিল না কোহলি, আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপ 2024 এবার কার দখলে, আইপিএলের পার্পল ক্যাপ 2024 পরবেন কোন বোলার, নাইটদের পরিসংখ্য়ান , যে কোনও প্লেয়ারের আইপিএল 2024 স্ট্যাটস, আগেরবারের যাবতীয় রেকর্ড জানতে পড়ুন HT Bangla।