২০২৪ সালের প্রথম দিকে ভারত সফরে এসেছিল ইংল্যান্ড দল। সেই সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বেন স্টোকসের দল। এই সিরিজে ইংল্যান্ড প্রথম ম্যাচে জিতেছিল, তবে তারপর থেকে টানা চার ম্যাচেই শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল ব্রিটিশরা। এই সিরিজের আগে, ইংল্যান্ড শিবির থেকে অনেক কথা বলা হয়ে ছিল যে, তারা ব্যাজবল পদ্ধতি অবলম্বন করবে এবং ভারতকে কীভাবে সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হয় তা শেখাবে।
তবে ভারতের মাটিতে এসে ভারতকে চ্যালেঞ্জ করাটা ছিল অনেক কঠিন বিষয়। টিম ইন্ডিয়া ব্যাজবলকে বাজে ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে এবং এমন পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে যে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা তাদের স্বপ্নেও এই সিরিজটিকে মনে করতে ভয় পাবে। লজ্জাজনক হারের পরও হাল ছাড়ছেন না ইংল্যান্ডের কিছু ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করেন যে ক্রিকেটের এই দীর্ঘ ফর্ম্যাটে অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড এখনও সেরা দল। তারা এখনও নিজেদের প্রশংসা করছেন।
অলি রবিনসন ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। রাঁচিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডের অলি রবিনসন বলেছেন, এই ১-৪ হারটা সম্ভবত ভুল। রবিনসন সেই টেস্ট ম্যাচে ১৩ ওভারে উইকেটহীন ফিরে যান এবং তার দলের প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করেন। যা ছিল ওই ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এই ম্যাচে অলি রবিনসনের হাতে ধরা পড়েন ধ্রুব জুরেল, যিনি ৯০ রানের ইনিংস খেলে ভারতের পাঁচ উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি এটাও বিশ্বাস করতেন যে তার দল যে ক্রিকেট খেলেছে তা প্রশংসনীয় এবং সম্ভবত তারা ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারত।
অলি রবিনসন বলেছেন তাঁরা সত্যিই খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছিল এবং এই সিরিজের ফলাফল ইংল্যান্ডের পক্ষে যেতে পারত। রবিনসনের মতে সিরিজের ফল ৩-২ হতেই পারত। অলি রবিনসন স্কাই স্পোর্টসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা সত্যিই ফলাফল পরিবর্তনের কাছাকাছি ছিলাম। স্পষ্টতই চতুর্থ টেস্টে আমি যে ক্যাচটা ফেলেছিলাম সেটা নিলে আমাদের সাহায্য হত। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে ১-৪ হারে আমরা যেভাবে পারফরম্যান্স করেছি সেটা ঠিক ছিল না। এই ফলাফলটি অনুকূল বলে মনে হচ্ছে না। আমরা সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলেছি এবং ফলাফল আমাদের পক্ষে ৩-২ হতেই পারত, কে জানে?’