কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৭ উইকেটে পরাজিত করে আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাস গড়ল ভারত। এই প্রথম নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল টিম ইন্ডিয়া। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতই এশিয়ার প্রথম দেশ, যারা কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়ে।
পাঁচ দিনের কেপ টাউন টেস্ট স্থায়ী হয় মোটে দেড় দিন। চারটি ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় মোটে ১০৭ ওভার। অর্থাৎ, সাকুল্যে ৬৪২টি বলেই কেপ টাউন টেস্টের ফলাফল নির্ধারিত হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের সার্বিক ইতিহাসে বল সংখ্যার নিরিখে এটিই সব থেকে ছোট ম্যাচের বিশ্বরেকর্ড।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কেপ টাউন টেস্ট ভেঙে দেয় ৯২ বছর আগের বিশ্বরেকর্ড। এর আগে বল সংখ্যার নিরিখে ফলাফল নির্ধারিত হওয়া সব থেকে ছোট টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছিল ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সেই টেস্ট ম্যাচে খেলা হয় সাকুল্যে ৬৫৬টি বল। সেই ম্যাচে ১ ইনিংস ও ৭২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া।
কেপ টাউনে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ২৩.২ ওভার। ভারত প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৪.৫ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৬.৫ ওভারে। শেষ ইনিংসে ভারত মাত্র ১২ ওভার ব্যাট করেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ১৫৩ রান। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৯৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ১৭৬ রানে। সুচরাং, জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৭৯ রানের। টিম ইন্ডিয়া শেষ ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।
বল সংখ্যার নিরিখে ফলাফল নির্ধারিত হওয়া সব থেকে ছোট টেস্ট:-
১. দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারত কেপ টাউন টেস্ট (২০২৪): ৬৪২ বলের।
২. অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা মেলবোর্ন টেস্ট (১৯৩২): ৬৫৬ বলের।
৩. ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্রিজটাউন টেস্ট (১৯৩৫): ৬৭২ বলের।
৪. ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট (১৯৮৮): ৭৮৮ বলের।
৫. ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া লর্ডস টেস্ট (১৯৮৮): ৭৯২ বলের।