হায়দরাবাদের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের, দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে বিশাখাপত্তনমে খেলতে নেমেছে 'মেন ইন ব্লু'। ইতিমধ্যেই প্রথমে ব্যাট করে ৩৯৬ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে রোহিত শর্মারা। সৌজন্যে যশস্বী জসওয়ালের দাপুটে ইনিংস। শতরান নয়, একেবারে দ্বিশতরান হাকিয়েছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দিনের খেলায় ইংল্যান্ডের বোলারদের বোলিংও ছিল চোখে পড়ার মতো। এই মুহূর্তে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড এবং এখনও পর্যন্ত তাদের অবস্থা বেশ ভালো।
এদিন শুরুটা দুর্দান্ত হয় ইংল্যান্ডের। দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করেন দলের দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি। যদিও টিম ইন্ডিয়াকে ম্যাচে ফেরান দলের তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদব। তিনি নেন ডাকেটের উইকেট। তবে এদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও হাতছাড়া হয় ভারতের। কুলদীপের প্রথম বলেই গত ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার ওলি পোপকে স্ট্যাম্প করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন দলের উইকেটরক্ষক কেএস ভরত।
মধ্যাহ্নভোজের কিছুক্ষণ পরেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ডাকেট। ১১ ওভারের শুরুতেই কুলদীপ যাদবের বলে তিনি ক্যাচ দিয়ে বসলেন, এই ম্যাচে অভিষেক করা ক্রিকেটার রজত পতিদারকে। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৭ বলে ২১, যার মধ্যে রয়েছে চারটি চার। এরপরই ক্রিজে আসেন পোপ। প্রথম বলেই কুলদীপ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন আউট করার। তবে সফল হননি। স্ট্যাম্প করতে পারলেন না ভরত। এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যায় মাঠে উপস্থিত সকল দর্শকেরা। যদি পোপ বেশি রান করতে পারেনি। বুমরাহের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ২৩ রানে ফিরে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রথমদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১১২ ওভারে ৩৯৬ রানে। বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দেন দলের তরুণ ওপেনার যশস্বী জসওয়াল। দ্বিশতরান করেন তিনি। ২৯০ বল খেলে ২০৯ রান করেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে ১৯টি চার এবং ৭টি ছয়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ইনিংস আসে শুভমান গিল ও রজত পতিদারের ব্যাট থেকেও। গিল করেন ৩৪ এবং পতিদার করেন ৩২। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান জেমস অ্যান্ডাসন, রেহান আহমেদ ও শোয়েব বাশির এবং একটি উইকেট তোলেন টম হার্টলি। এবার দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কত রানে ইংল্যান্ডকে রুখতে সফল হয় ভারতের বোলাররা।