প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করেছে ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি ফিরেছে ভারতীয় দলের অন্দরে। এই সিরিজ হারলে রোহিতের অধিনায়কত্বই নয়, একই সঙ্গে ভারতীয় দলের ব্যাটারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যেত। যদি সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে দেননি ভারতীয় বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে এই টেস্ট সিরিজে প্রথম ম্যাচে বেশ ভালো রান করেন কেএল রাহুল। শতরান করেন তিনি।
এবার সেই রাহুলেরই প্রশংসা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। দ্বিতীয় টেস্টের পর মঞ্জরেকর রাহুলের প্রশংসা করে বলেন, উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সব ফরম্যাটেই প্রতিটি সুযোগের জন্য লড়াই করছেন। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মনে করেন যে রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার ২০২৪ সালের আইপিএলে ফিরে আসা ঋষভ পন্তের সঙ্গে পাঁচ নম্বর স্থানের জন্য লড়াই করতে পারেন।
স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সে এমন একজন ক্রিকেটার যে সব ফরম্যাটের প্রতিই যত্নশীল। আপনি জানেন যে ১০০ রান করার পরে তিনি যে প্রতিটি সুযোগ পান তা মূল্যায়ন করার জন্য তিনি কীভাবে গড়ে উঠেছেন। আপনি জানেন, আমি এখন থেকে দুই বছর পরে খুঁজছি এবং আমি ভেবেছিলাম মিডল অর্ডারে ব্যাটিং পজিশনের জন্য তিনি সত্যিই শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কারণ পন্ত ফিট হওয়ার মুহুর্তে। ভালো উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠেন এবং ঋষভ পন্থের ব্যাটিং এবং কিপিংয়েও দুর্দান্ত গুণ রয়েছে।’
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘সেই ইনিংসটি অবিশ্বাস্য ছিল (প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি)। দুর্ভাগ্যবশত আপনি জানেন, ডিন এলগার ১৮০ রান করেছিলেন, তারা ৪০০ পেয়েছিলেন কারণ আমরা তখন ভেবেছিলাম যে ২৬০ রান যথেষ্ট হবে। আর সেই মুহুর্তে ভারত যদি এগিয়ে যেতে পারত, তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিততে পারত।’
এই জয়ের ফলে ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৫ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটি ভারতের দ্বিতীয় জয়, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম টেস্টে হারের ফলে ভারত ষষ্ঠ স্থানে চলে গেলেও বৃহস্পতিবারের জয়ের ফলে তারা একবার শীর্ষ স্থানে চলে গিয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে আছে প্রোটিয়ারা, তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের পরেই রয়েছে পাকিস্তান (ষষ্ঠ), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সপ্তম), ইংল্যান্ড (অষ্টম) ও শ্রীলঙ্কা (নবম)।