শুভব্রত মুখার্জি: মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনি নামা মানেই একটা আলোড়ন সৃষ্টি হওয়া। কখনও ব্যাট হাতে, কখনও কিপিং গ্লাভস হাতে, আবার কখনও অধিনায়কত্ব দায়িত্ব পালনের সময়ে ক্ষুরধার মস্তিষ্কের প্রয়োগে দর্শকদের বারবার মোহিত করেছেন তিনি। তাই ভারত তো বটেই, বিশ্বের যে কোন প্রান্তেই তাঁকে নিয়ে আলাদা একটা উত্তেজনা, উন্মাদনা কাজ করে সমর্থকদের মধ্যে। ধোনি মাঠে নামলেই স্পেশাল কিছু না কিছু করবেন এই আশায় থাকেন ভক্তরা। তাদের সেই আশা রবিবার পূরণ হয়েছে বলা চলে। টি-২০ ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে এক নয়া নজির গড়েছেন ধোনি। বলা যায় এক বিরল নজির গড়েছেন মাহি। আর এই নজির গড়ে তিনি স্পর্শ করেছেন বিরাট কোহলিকে।
টি-২০ ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে এই নজির বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়া আর কেউ করতে পারেননি। এই ফর্ম্যাটে বিরাট কোহলির পরে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট দলের হয়ে ২৫০ বা তার ও বেশি ম্যাচে খেলার নজির গড়লেন ধোনি। এই তালিকায় ধোনির আগে রয়েছেন কেবলমাত্র বিরাট কোহলি।
রবিবার ছিল আইপিএলের 'ডাবল হেডার'। অর্থাৎ একদিনে দুটি ম্যাচ। সেই 'ডাবল হেডারের' দ্বিতীয় ম্যাচেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে সিএসকের জার্সিতে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে নয়া নজির গড়ে ফেলেছেন ধোনি।
আরও পড়ুন… বল না করলে হার্দিক পান্ডিয়াকে কেন T20 WC 2024-এ খেলানো হবে, প্রশ্ন তুললেন হর্ষ ভোগলে
রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে সিএসকের জার্সিতে এটা ছিল ধোনির ২৫০ তম ম্যাচ। যার মধ্যে ২৪ টি ম্যাচ আবার তিনি সিএসকের হয়ে খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০'তে। ওয়াংখেড়েতে এই প্রথমবার অধিনায়ক নন বরং দলের একজন ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন ধোনি। অনেকেই মনে করছেন এই মরশুমটিই হয়তো আইপিএলে ধোনির শেষ মরশুম হতে চলেছে।মাঝে একটি আইপিএলের মরশুমের কয়েকটি ম্যাচ বাদ দিলে (যে মরশুমে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে সিএসকের অধিনায়কত্ব করেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা) ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসের পরে এই প্রথমবার ধোনি দলের একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামলেন। অন্যদিকে ২০০৮ সাল থেকে কোহলি টানা আরসিবির হয়ে খেলছেন। আইপিএলে আরসিবির হয়ে এখন পর্যন্ত ২৪৩ টি ম্যাচ খেলেছেন বিরাট কোহলি। আর বাকি ১৫ টি ম্যাচ তিনি খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০'তে আরসিবির হয়ে।