বোর্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও চলতি রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি ইশান কিষান। শ্রেয়স আইয়ারও রঞ্জিতে আগ্রহ দেখাননি। যার কঠিন ফল তাঁরা সম্ভবত পেতে চলেছে। ইশান কিষান এবং শ্রেয়স আইয়ার- উভয়েরই বাতিল হতে পারে বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি। টাইমনস এফ ইন্ডিয়ার মতে, যখন বিসিসিআই কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা ঘোষণা করবে, তখন সেই তালিকায় হয়তো নাম নাও থাকতে পারে ইশান আর শ্রেয়সের।
TOI-কে এক সূত্র জানিয়েছেন, ‘অজিত আগরকারের নেতৃত্বে নির্বাচকেরা ২০২৩-২৪ মরশুমের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন, যা বিসিসিআই শীঘ্রই ঘোষণা করবে। কিষান এবং আইয়ারকে সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে, কারণ উভয়েই বিসিসিআই-এর নির্দেশ সত্ত্বেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন না।’
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল। সেই সফরের মাঝপথ থেকে ফিরে আসার পর, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ লম্বা বিরতিতে রয়েছেন ইশান কিষান। তিনি তাঁর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে বরোদায় অনুশীলন করছেন, কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলেননি। শ্রেয়স আইয়ার আবার বিকেসিতে অসামের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের শেষ রঞ্জি ট্রফি লিগের ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন এবং শুক্রবার থেকে বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালও মিস করবেন।
মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছিলেন যে, পিঠের ব্যথার কারণে তিনি নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ নন, তবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির স্পোর্টস সায়েন্স এবং চিকিৎসা বিভাগের প্রধান নীতিন প্যাটেল বিসিসিআই এবং জাতীয় নির্বাচকদের একটি ইমেল মারফৎ জানিয়েছেন, আইয়ার ‘ফিট’ রয়েছেন।
যাইহোক, আইয়ারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র উল্লেখ করেছেন যে, ‘সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শেষ তিনটি টেস্টের জন্য ভারতের স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শ্রেয়সকে, কারণ তাঁর পিঠে সমস্যার হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল।’
সেই সূত্র আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বিসিসিআই-কে প্যাটেলের ইমেলটি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পরে লেখা হয়েছিল। তার পর থেকে, পিঠের সমস্যা আইয়ারকে আরও চাপে ফেলেছে। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপে শ্রেয়ল আইয়ার ছিল ভারতের সেরা পারফরম্যান্স করা ব্যাটসম্যানদের একজন। শুধুমাত্র রঞ্জি ম্যাচ মিস করার কারণে তিনি চুক্তি হারাবেন না।’
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ভাবে চুক্তিবদ্ধ এবং ভারতীয় ‘এ’ ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, চলতি রঞ্জি ট্রফিতে অংশ না নেওয়াটা সহ্য করা হবে না এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকারকে ‘এ বিষয়ে ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়া হবে।