সারা বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ালেও আইপিএলে বাতিলের খাতায় কায়রন পোলার্ড। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে ইতিমধ্যেই কোচিং কেরিয়ার শুরু করা ক্যারিবিয়ান তারকা অবশ্য প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করে চলেছেন যে, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। তাঁর মধ্যে এখনও বাকি রয়েছে রসদ। গত এসএ-২০ ও আইএল টি-২০'তে এমআই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে রং ছড়িয়েছেন। এবার করাচি কিংসের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছেন পোলার্ড।
মুলতান সুলতানসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে পোলার্ড ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। পরে বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির বিরুদ্ধে তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ৪৯ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। এবার লাহোর কালান্দার্সের বিরুদ্ধে মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করলেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
শাহিন আফ্রিদির লাহোরের বিরুদ্ধে ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন পোলার্ড। শেষমেশ ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। মূলত পোলার্ডের তাণ্ডবে ভর করেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন লাহোরকে হারিয়ে দেয় করাচি।
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কালান্দার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাহেবজাদা ফারহান। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ বলে ২৬ রান করেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন।
জর্জ লিন্ডে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২১ রান করেন শাই হোপ। ফখর জামান ৬, এহসান হাফিজ ৮ ও জাহানদাদ খান ১২ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি সিকন্দর রাজা। করাচির হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মীর হামজা, হাসান আলি ও তাবরেজ শামসি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে করাচি কিংস ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় তুলে নেয়। তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। পোলার্ডের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ৩২ বলে ৩৯ রান করেন শোয়েব মালিক। তিনি ৩টি চার মারেন। ক্যাপ্টেন শান মাসুদ ৯ বলে ১০ রান করেন। শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন পোলার্ড।