একটি আইপিএল চুক্তি একজন ক্রিকেটারের কাছে বড় প্রাপ্তি। সকল ক্রিকেটারই এই চুক্তি পেতে চান। তবে যারা এই চুক্তি পান না তারা বেশ হতাশায় ডুবে যান। তব মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটার মুশির কানের জন্য বিষয়টি একেবারেই অন্যরকম। রঞ্জি ট্রফির নায়ক মুশির খান এবারের আইপিএল নিলামে দল পাননি, তবে তাতে তিনি হতাশ নন। বরং দল না পেয়ে বেশ খুশি মুশির কান। তাঁর মতে এই একটি বছর তাঁকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটটি 'বুঝতে' আরও কিছুটা সময় দেবে।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে রঞ্জি ফাইনালে সেঞ্চুরি করার জন্য মুম্বইয়ের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন মুশির খান। এই সময়ে তিনি গ্রেট সচিন তেন্ডুলকরকে মুগ্ধ করেছেন। আইপিএল-এ দল না পাওয়া নিয়ে মুশির খান বলেছিলেন, ‘আমার নাম আইপিএলে নেই। তবে আমি হতাশ নই। আমার বাবা আমাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে এবং টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে বলেন। আইপিএল শেষ পর্যন্ত হবে, আজ না হলে কাল।’ এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলা মুশির বলেছেন, ‘এটা ভালো যে আমি আইপিএলের প্রস্তুতির জন্য আরও একটি বছর পেয়েগিয়েছি। আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আরও বুঝতে পারব এবং এই ফর্ম্যাটের জন্য আমার কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত সেটি নিয়ে কাজ করতে পারব।’
মুশির খান সম্প্রতি বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রান করেন। মুশির স্পষ্টতই তার বড় ভাই সরফরাজের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন, যিনি গত মাসে রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে ভারতের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। মুশির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের নিষ্ঠা এবং যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত। আমাদের ব্যাটিং স্টাইল একই রকম। খেলার (রঞ্জি ফাইনাল) আগে তিনি আমাকে বলেছিলেন এটাকে স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবে ভাবতে এবং খুব বেশি চাপ না নিতে। বাইরে থেকে এটা স্বাভাবিক ম্যাচের মতো মনে হলেও মাঠে আমরা চাপ অনুভব করি। তিনি আমাকে আমার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে খেলতে বলেছিলেন।’
মুশির এই বছরের শুরুর দিকে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। এই সময়ে তিনি দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। আট বছর পর মুম্বইকে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত মুশির বলেন, ‘এটা গর্বের বিষয় যে আমরা ৪২বার এই শিরোপা জিতেছি। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় এখানে (মুম্বইয়ের হয়ে) খেলেছেন। আমি খুব গর্বিত যে আমি মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছি এবং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি।’
মুশির বলেছেন, ‘আমি মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে (এমসিএ) ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে চাই কারণ তারা আমাদের দুর্দান্ত সমর্থন দিয়েছে। আশা করি তারা এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন।’