RR vs DC IPL 2024: শেষ ওভারে কীভাবে দিল্লির দুই সেট ব্যাটারকে মাত্র ৪ রানে আটকান, ব্রহ্মাস্ত্রের রহস্য ফাঁস আবেশের

Rajasthan Royals vs Delhi Capitals Indian Premier League 2024: ম্যাচের শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে আবেশ খান দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন।

শেষ ওভারে রাজস্থানকে ম্যাচ জিতিয়ে আবেশ খানের উচ্ছ্বাস। ছবি- এপি।

জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের দরকার ছিল ৩২ রান। ১৯তম ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান ক্রিস্তান স্টাবস। সেই ওভারে ১৫ রান ওঠে। সুতরাং, জিততে শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ২১ বলে ৪২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ত্রিস্তান। ক্রিজের অপর প্রান্তে ছিলেন অক্ষর প্যাটেল, যাঁর ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করবেন না কেউই।

এমনিতেই আইপিএল ম্যাচে শেষ ওভারে ১৭ রান তুলে ম্যাচ জেতার ঘটনা রয়েছে বিস্তর। তার উপর দুই প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার ক্রিজে থাকায় শেষ ওভারের আগে পর্যন্ত রাজস্থানের জয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। তবে শেষ ওভারে আবশ খান মোটে ৪ রান খরচ করেন। রাজস্থান ১২ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে।

জয়পুরে আবেশ খান ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট দখল করেন। বিশেষ করে শেষ ওভারে যে রকম মুন্সিয়ানার সঙ্গে দিল্লির দুই সেট ব্যাটারকে আটকে রাখেন আবেশ, তা প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ম্যাচের শেষে আবেশ নিজেই হদিশ দেন গেম প্ল্যানের। কীভাবে পরিকল্পনামাফিক ওয়াইড ইয়র্কারে স্টাবস-অক্ষরকে আটকে রাখতে চেয়েছিলেন, সেটা নিজের মুখেই জানিয়ে দেন তিনি।

আবেশ খান বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা একদম পরিস্কার ছিল। একদিকের বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য বেশি। তাই ওয়াইড ইয়র্কার করার ভাবনা ছিল আমার। প্রতি বলের শেষে নিজেকে ৫ সেকেন্ড সময় দিচ্ছিলাম এবং ভাবছিলাম কীভাবে পরিকল্পনা যথাযথ মেলে ধরা যায়। ব্যাটসম্যান যদি ভালো শট খেলে, তবে সেটা তার দক্ষতা। আমার নজর ছিল পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করায়। নিজের ইয়র্কারের প্রতি আস্থা ছিল আমার।’

আবেশ আরও জানান যে, ক্যাপ্টেন তাঁকে কতটা স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং একমাত্র কখন স্যামসন তাঁর বোলিংয়ে নাক গলান। আবেশ বলেন, ‘এখানে (রাজস্থান রয়্যালসে) বোলিং উপভোগ করছি। কেননা আমাদের দলে সন্দীপ, বোল্ট, বার্গারের মতো বোলার রয়েছে, যাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা স্কিল রয়েছে। ওদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। স্যামসন আমাকে স্বাধীনভাবে নিজের পরিকল্পনা মতো বল করতে দেয়। একমাত্র তখনই মাথা গলায়, যখন দেখে আমি সমস্যায় রয়েছি। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সাঙ্গাকারা সব সময় আমাকে সমর্থন করেন। ব্যর্থ হলে কী হবে, এই নিয়ে কখনও ভাবতে বারণ করেন।’