বর্তমানে আইসিসির একদিনের ক্রিকেটে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের এই সাফল্যের পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে জোরদার বোলিং লাইনআপ। স্পিন বোলিংয়ের থেকে তাদের জোড়ে বোলাররা বেশি নজর কেড়েছে। শাহিন আফ্রিদি এবং নাসিম শাহারা যেভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে বোলিং করে গিয়েছেন তাতে প্রশংসা করা ছাড়া উপায় নেই। তবে এই বোলিং আক্রমণ নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেছে তারা। এশিয়া কাপ চলাকালীন চোট পেয়েছেন বোলার নাসিম শাহ। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম নাসিমের সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আগামী মাস থেকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলে বিশ্বকাপে তাকে পাওয়া যাবে কিনা এবিষয়ে সন্দেহ রয়েছে বাবরের মনে।
ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচ চলাকালীন চোট পান পাকিস্তানের দুই জোরে বোলার। নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ চোট পান। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাদের মরণ বাচন লড়াইয়ে এই দুই পেসারই প্রথম একাদশের বাইরে ছিলেন। পাক অধিনায়ক বাবর আজম মনে করছেন হ্যারিসকে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচে পাওয়া যেতে পারে কিন্তু নাসিমকে কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় কাজ করছে তাঁর মনে। নাসিমের ডান কাঁধের চোট ঠিক কতদিনে সেড়ে যাবে সেই বিষয়ে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোন নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হয়নি।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
এই বিষয়ে বাবর বলেন, 'নাসিমের চোটের সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। আমাদের দ্বিতীয় পরিকল্পনার সম্পর্কে এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না। তবে হারিস সুস্থ হয়ে উঠছে। বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচের আগেই তাকে পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। নাসিম কতগুলি ম্যাচ খেলতে পারবে না সে বিষয়ে আমি জানিনা। তবে রউফকে আমরা পেতে পারি।'
এর আগে ২০ বছর বয়সী জোরে বোলার নাসিম পিঠের চোট পেয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। প্রায় ১৪ মাস সময় লাগে চোট কাটিয়ে ফিরে আসার জন্য। তাঁর পিঠের চোট সেরে যাবার ৬ সপ্তাহ পরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার সময় কাঁধে চোট লাগে এই পাকিস্তান জোরে বোলারের। এর জন্য এক মাস দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে ভারতের বিরুদ্ধে ফের একই জায়গায় চোট পান নাসিম।
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
লাল বলের ক্রিকেটে স্পেশালিস্ট হিসাবে ধরা হলেও পাকিস্তানের হয়ে এখন সব ফরম্যাটেই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। সম্প্রতি ১৪টি ম্যাচে ৩২টি উইকেট নিয়ে সকলের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বর আইসিসির কাছে দলগুলিকে নিজেদের ১৫ জনের ক্রিকেটারদের নাম জমা দিতে হবে। এরপরে আয়োজক দেশের কাছে অনুমতি নিয়ে তাতে পরিবর্তন করতে পারে দলগুলি। এখন দেখার বিষয় এটাই নাসিমের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কি সিদ্ধান্ত নেয়।