শুভব্রত মুখার্জি:- ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে ডিআরএস নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বেন স্টোকস বারবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন। শেষ টেস্টে ও জ্যাক ক্রলির এলবিডব্লিউ আউটের পরে বিতর্ক হয়েছিল। অনেকটা এক ধাঁচের ঘটনা এবার ঘটতে দেখা গেল চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে। সেখানে ইসলামবাদ ইউনাইটেড এবং কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মধ্যে ম্যাচে প্রায় এক ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে আউটের সিদ্ধান্তের রিভিউতে হক আই যে বলটির গতিপথ দেখানোর কথা ছিল তা না দেখিয়ে অন্য গতিপথ দেখানোর হলে বেঁচে যান কোয়েট্টা অধিনায়ক রিলি রসউ। বেঁচে যাওয়া শুধু নয় ম্যাচের রঙটাই তিনি বদলে দেন। ম্যাচে তাঁর ইনিংসে ভর করেই ইসলামাবাদকে হারিয়ে দেয় কোয়েট্টা। ম্যাচ শেষে ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খান অভিযোগ করেন আউটের ক্ষেত্রে বলেল ভুল ইতিপথ দেখানো হয়েছে। এবার সেই কথা মেনে ও নিল হক আই। ভুল যে তারা করেছেন তা মেনে নিয়েই তাদের তরফে চিঠি দেওয়া হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ পিসিবিকে।
কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ইনিংসের ১১তম ওভারে ঘটেছে ঘটনাটি। ওই ওভারের একেবারে শেষ বলে ঘটেছে ঘটনাটি। বল করছিলেন সলমন আঘা। তাঁকে সরে গিয়ে সুইপ মারতে যান রিলি রসউ। কিন্তু পারেননি। বল মিস করলে উইকেটের সামনে তাঁর প্যাডে বল লাগে। আপিল করেন ইসলামাবাদের ক্রিকেটাররা। আউটের আবেদনে সাড়া দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। আলিম দারের দেওয়া সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন রিলি রসউ। হক আইতে ভুল বলের গতিপথের জন্য দেখা যায় বল স্ট্যাম্পের লাইনেও পড়েনি এবং উইকেটেও লাগছে না। বড় স্ক্রিনে এই ছবি দেখে অবাক হয়ে যান আলিম দার এবং ফিল্ডিং দল। রিপ্লেতে বল স্পিন করার বদলে দেখানো হয় সোজা বেরিয়ে যাচ্ছে।
এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে এই নিয়ে কথা ওঠে। অবশেষে ঘটনায় ভুল স্বীকার করে চিঠি দিয়েছে হক আই। তারা চিঠি দেওয়া হয়েছে পিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার সলমান নাসির এবং প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্টকে। তাদের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে যে বলটির গতিপথ রিভিউ করতে দেওয়া হয়েছে তার পরিবর্তে অন্য বলের গতিপথ ভুল করে দেখানো হয়ে গিয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী।
এই প্রসঙ্গে ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খান জানান, 'মনে হয় প্রযুক্তিতে ভুল হয়েছে। এখানে ভিন্ন বল দেখানো হয়েছে। এই ধরনের বড় টুর্নামেন্টে এসব ছোট ভুল হওয়া উচিত নয়। আমি লেগ স্পিনার হয়ে ৪ ওভার করেছি। মনে হয় না বল এত ঘুরছিল। আর তারা দেখিয়েছে, আগার বল অফ স্টাম্পের বাইরে লাগত এবং ঘুরে বের হয়ে যেত। আমি তা বিশ্বাস করি না।’