প্রত্যাশা মতোই রঞ্জি ট্রফির এলিট-এ গ্রুপের ম্যাচে মণিপুরকে একতরফাভাবে পরাজিত করে সৌরাষ্ট্র। আড়াই দিনেরও কম সময়ে দুর্বল প্রতিপক্ষকে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেন চেতেশ্বর পূজারারা। চেতেশ্বর ছাড়াও সৌরাষ্ট্রের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অর্পিত বাসবদা ও প্রেরক মানকড়। বল হাতে মণিপুরকে একাই বিধ্বস্ত করেন ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা।
রাজকোটে টস জিত শুরুতে ব্যাট করতে নামে মণিপুর। তবে তারা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন কেইশাংবাম দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৭ রান করেন। এছাড়া বশিদ মহম্মদ ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন। দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি তাদের আর কোনও ব্যাটার। খাতা খুলতে পারেননি ৫ জন।
সৌরাষ্ট্রের ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন। ৩টি উইকেট দখল করেন চেতন সাকারিয়া। যুবরাজসিং দদিয়া নেন ২টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্র ৬ উইকেটে ৫২৯ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। শতরান করেন চেতেশ্বর পূজারা, অর্পিত বাসবদা ও প্রেরক মানকড়। পূজারা ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৫ বলে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এটি তাঁর ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারের ৬৩তম শতরান। বাসবদা ১৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯৭ বলে ১৪৮ রান করেন। প্রেরক মানকড় ১৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৩ বলে ১৭৩ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। লামাবাম সিং ৩টি ও রোনাল্ড লংজ্যাম ২টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে মণিপুর। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অল-আউট হয়। এক ইনিংস ও ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সৌরাষ্ট্র। বিকাশ সিং করেন ৬৪ রান। ৫৪ বলের ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ১০৫ বলে ৩২ রান করেন রোনাল্ড। তিনি ৩টি চার মারেন।
সৌরাষ্ট্রের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে মোট ৯টি উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৩টি উইকেট নেন যুবরাজসিং দদিয়া। চেতন সাকারিয়া ২৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন। দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন জাদেজা।